রবীন্দ্র সরোবরে ছট পুজো (Photo Credits: IANS)

কলকাতা, ৫ নভেম্বর: Dead Fish, Turtle Seen Floating Near Rabindra Sarobar Lake: ছটের পর রবীন্দ্র সরোবরের (Rabindra Sarobar) জলে ভেসে উঠলো মরা কচ্ছপ (Turtle), মাছ (Fishes)। এনজিটির (NGT) নির্দেশ অমান্য করে রবীন্দ্র সরোবরের তালা ভেঙে শনিবার পুণ্যার্থীরা ভিতরে প্রবেশ করেন। তাদের বাধা দিতে উপস্থিত ছিল না প্রশাসন, কেএমডিএ ও পুলিশ। এরফলে ফের ছট পুজো হয় সরোবরে। এরপরেও বাধা দিতে আসেনি কেউ। রবিবার জলের নমুনা সংগ্ৰহ করা হয়। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্ট (TOI) অনুযায়ী, পুজোর ১০ ঘন্টা পর জলের নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যাওয়া হয়। জলের গুণমান পরীক্ষার পর দেখা যায় জলে দ্রবীভূত অক্সিজেন এবং উচ্চপরিমাণে তেল ও গ্রিস ভাসছে। এরফলেই জলজ প্রাণীগুলির মৃত্যু হয়।

জলে অতিমাত্রায় টক্সিন (Toxin) থাকার কারণে দূষিত হয়ে পড়ে জল। ফলে অক্সিজেনের মাত্রাও কমে যায়। বাস্তুতন্ত্রে এর প্রভাব পড়ে। পরিবেশবিদ এবং গবেষক সুদীপ্ত ভট্টাচার্যর সেভিয়ার্স অ্যান্ড ফ্রেন্ডস অফ এনভায়রনমেন্ট (SAFE)-র করা রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রতি লিটারে ২২.৩ মি.গ্রা তেল (Oil) ও গ্রিস (Grease) পাওয়া গেছে। যা স্বাভাবিকের থেকে অনেকটা বেশি।পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদও সোমবার জলের নমুনা সংগ্রহ করে মাছ ও কচ্ছপ মরার কারণ পরীক্ষা করবে বলে জানা গেছে। ছটের পরদিন প্রাতঃভ্রমণকারী ও এলাকাবাসীরা সবার আগে মাছ ও কচ্ছপ মরে জলে ভেসে থাকতে দেখেন। তাঁরাও ছটের ফলে হওয়া দূষণকেই দোষারোপ করেছেন। আরও পড়ুন, ‘গরুর দুধে সোনা থাকে, তাই তো দুধের রং হলুদ হয়’, বললেন দিলীপ ঘোষ

গত ১৪ নভেম্বর NGT পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে রবীন্দ্র সরোবরের জলে যাতে দূষণ না হয় তার আদেশ দিয়েছিল। সরোবরে ছট থেকে শুরু করে যেকোনো অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ করেছিল।