মমতা ব্যানার্জি (Photo Credits: IANS)

কলকাতা, ১৪ জানুয়ারি: আগুনের লেলিহান শিখা সংক্রান্তির সকালে বাগবাজারের হাজার হাত বস্তির বাসিন্দাদের পথে বসিয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ ঘটনাস্থলে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তাঁকে দেখেই সব হারানো মানুষগুলো পুলশের নিরাপত্তারব্যারিকেড অগ্রাহ্য করে অভাব অভিযোগ জানাতে ছুটে আসে। বস্তিবাসীদের আশ্বাস দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “যতক্ষণ না পুনর্বাসন হচ্ছে ততক্ষণ ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকবে সরকার। অন্ন বস্ত্র বাসস্থানের যথাযোগ্য ব্যবস্থা করা হবে। প্রয়োজনীয় জামাকাপড়, কম্বলও দিতে হবে পুরুষ-মহিলা সকলকেই। আমরা ক্ষয়ক্ষতি বুঝে নিয়ে প্রত্যেককে যার যে জায়গা তাকে সেই জায়গায় থাকার বন্দোবস্ত করে দেবো। ভরসা রাখুন, আপনারা বিপদে পড়েছেন, আমরা পাশে আছি।”

তিনি আরও বলেন এবার নিরাশ্রয় মানুষগুলোর জন্য চাল, ডাল, আলু, বিস্কুটের পর্যাপ্ত বন্দোবস্ত করা হবে। আগে কাজ ছিল আগুন নেভানো। তারপর প্রত্যেকের থাকার বন্দোবস্ত করা। আজকে পরিষ্কার হবে এই জায়গা। আমি আশ্বাস দিচ্ছি সকলকে বাড়ি বানিয়ে দেবে কলকাতা কর্পোরেশন। এ বিষয়ে যথাযোগ্য ব্যবস্থা নিয়ে শশী পাঁজা ও ফিরহাদ হাকিমকে প্রয়োজনীয় নির্দেশও দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই গোটা এলাকাটি ঘুরে গিয়েছেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। আরও পড়ুন-Baghbazar Fire Updates: বাগবাজারের ভয়াবহ আগুন কাড়ল ৭০০ বাসিন্দার আশ্রয়, ক্ষতিগ্রস্ত বিবেকানন্দের উদ্বোধনী পত্রিকার অফিস

নতুন বছরের শুরুতে আগুন যেন কলকাতার পিছু ছাড়ছে না। বুধবারের সন্ধ্যায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়েছে বাগাবাজারের (Baghbazar) হাজার হাত বস্তি। প্রায় ৭০০ বাসিন্দা এখন গৃহহীন। আগুনের গ্রাসে ক্ষতিগ্রস্ত বিবেকানন্দের তৈরি ১২২বছরের উদ্বোধনী পত্রিকার অফিস। বাগবাজারে সারদা মায়ের বাড়িও আগুন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হারিয়ে গিয়েছে মূল্যবান নথি। পুড়ে ছাই নগদ টাকা। ধ্বংসস্তূপ থেকে শেষ সম্বল উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে পৌষের শীতে ঘর হারানো মানুষগুলি। এদিন ভোরেও ঘটনাস্থলের বিভিন্ন জায়গা থেকে ধোঁয়া বেরতে দেখা যায়। তার মধ্যেই ঝুপড়িবাসীরা খুঁজতে শুরু করেন আগুনের গ্রাস থেকে মূল্যবান কিছু বেঁচে আছে কি না। কেউ খুঁজছেন পরীক্ষার শংসাপত্র। কেউ বা আধার কার্ড, ভোটার কার্ড।