![](https://bnst1.latestly.com/uploads/images/2024/09/75-106.jpg?width=380&height=214)
পুলিশ বা সিবিআইয়ের পরিচয় দেখিয়ে বৌবাজার থেকে গড়িয়াহাটের একাধিক দোকানে সোনা লুঠ করছিল বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতি। তবে তাঁদের নাগাল পাচ্ছিলেন না কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) দুঁদে কর্তারাও। তবে জারি ছিল তল্লাশি অভিযান। অবশেষে শুক্রবার হাবড়ার বাউড়িয়া থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার হল ৬ দুষ্কৃতি। জানা যাচ্ছে, এরা সকলেই ভিনরাজ্যের বাসিন্দা। বেশিরভাগই মহারাষ্ট্র ও কর্ণাটক নিবাসী বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তদের আদালতে তোলা হয়েছে। আগামী ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাঁদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
জানা যাচ্ছে, অভিযানে আমজাদ আলি, ফিরোজ আলি, নবাব আলি, আলি রাজা, ইকবাল বরকৎ আলি ও আলি বাগওয়ানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা যাচ্ছে, বউবাজার, মুচিবাজার, বড়বাজার ও গড়িয়াহাটের বিভিন্ন সোনার দোকান টার্গেট করে ঢুকে পড়ত তাঁরা। এরপর কলকাতা পুলিশ বা সিবিআই আধিকারিকের পরিচয় দিয়ে সিকিউরিটি চেকিংয়ের নাম করে দামী জুয়েলারি লুঠ করত। যখন দোকানের মালিক বা কর্মচারীর নজরে বিষয়টি আসত, ততক্ষণে নজরের বাইরে চলে যেত তাঁরা।
এই নিয়ে বিগত কয়েকমাসে একাধিক অভিযোগ আসে। আর তারপরেই এই ইরানি গ্যাংকে (Irani Gang) ধরতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযানে নামে পুলিশ। সম্প্রতি তাঁরা খবর পায় যে হাবড়ায় ৬ অজ্ঞাত পরিচয়ের যুবক বাউড়িয়া এলাকায় একটি বাড়ি ভাড়া নিয়েছে। খবর পেতেই ওই এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালায় পুলিশ। আর তারপরেই গ্রেফতার করা হয় তাঁদের।