কলকাতা, ৩০ অক্টোবর: কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) ৫ বাঙালি শ্রমিককে জঙ্গিদের গুলি করে হত্যার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (Mamata Banerjee)। টুইট করে মমতা জানিয়েছেন, "কাশ্মীরে যেভাবে নিরাপরাধ শ্রমিকদের গুলি করে মারা হয়েছে তাতে আমি স্তম্ভিত। নিহতরা সবাই মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা। কোনও রকম সান্তনা নিহতদের পরিবারের শোক কম করতে পারবে না। নিহতদের পরিবারগুলিকে সবরকম সাহায্য করা হবে। এই মর্মান্তিক পরিস্থিতিতে পরিবারগুলিতে সমস্ত সহায়তা করা হবে।"
মঙ্গলবার ইওরোপীয় পার্লামেন্টের (European Parliament) ২৮ সদস্যর প্রতিনিধি দলের সফরের মধ্যেই কাশ্মীরে হত্যালীলা চালায় জঙ্গিরা। পুলিশ জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের (Murshodabad) বহালনগর গ্রাম থেকে যাওয়া জনা পনেরো শ্রমিকের একটি দল কুলগামের কটরাসু গ্রামে একটি কাঠের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে প্রতি বছরই কাশ্মীরে যেতেন ওঁরা। মঙ্গলবার সন্ধেয় তাঁদের কয়েক জনকে ঘর থেকে বার করে এনে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় জঙ্গিরা। নিহত হন পাঁচ জন। মৃতরা হলেন রফিক শেখ (২৮), কামরুদ্দিন শেখ (৩০), মুরসালিম শেখ (৩০), নইমুদ্দিন শেখ (২৮), রফিকুল শেখ (৩০)। জঙ্গিদের গুলিতে অনন্তনাগের (Anantnag) হাসপাতালে ভর্তি জ়হিরুদ্দিন নামে আরও একজন। এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতিও (Mehbooba Mufti)। শ্রমিকদের ওপরে হামলা নিয়ে শোক প্রকাশ করে তিনি টুইট করেছেন, "ভয়ঙ্কর ঘটনা। উপত্যকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা কেমন এবার তা ভেবে দেখা উচিত। ৩৭০ ধারা বিলোপের পর জঙ্গি হামলা বন্ধ হয়ে যাওয়ার বদলে হামলার ঘটনা বেড়েই চলেছে।" আরও পড়ুন: Jammu And Kashmir: কাশ্মীরে ৫ বাঙালি শ্রমিককে গুলি করে খুন করল জঙ্গিরা, শোকস্তব্ধ পরিবার
We are shocked and deeply saddened at the brutal killings in Kashmir. Five workers from Murshidabad lost their lives. Words will not take away the grief of the families of the deceased. All help will be extended to the families in this tragic situation
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) October 29, 2019
কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর থেকেই অকাশ্মীরীদের বাসিন্দাদের নিশানা করছে জঙ্গিরা। সব ঘটনাই ঘটেছে দক্ষিণ কাশ্মীরে। ২৪ অক্টোবর শোপিয়ানে আপেল আনতে যাওয়া তিন রাজ্যের ট্রাকচালক খুন হন। এক আপেল বাগানের মালিককে মারধর করা হয়। দু'দিন পরে খুন হন পঞ্জাবের আপেল ব্যবসায়ী চরণজিৎ সিংহ। আহত হন সঞ্জীব নামে আর এক ব্যক্তি। সে দিনই ছত্তিশগড় থেকে যাওয়া এক ইটভাটার শ্রমিককে খুন করে জঙ্গিরা। রবিবার খুন হন জম্মুর ট্রাক চালক নারায়ণ দত্ত। তা ছাড়াও সোমবার শ্রীনগরে লাল চকের কাছে হরি সিংহ বাজার এবং আজ সোপোর টাউন বাসস্ট্যান্ডে গ্রেনেড ছুড়েছে জঙ্গিরা। তাতে ১৯ জন সাধারণ নাগরিক আহত হয়েছেন।