প্রতীকী ছবি(Photo Credit: ANI)

কোচবিহার, ১০ এপ্রিল:  উত্তেজনা শীতলকুচিতে (Sitalkuchi), গুলিতে নিহত মোট ৫। আগেই এক যুবকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছিল। আরও ৪ জনের গুলি লেগে মৃত্যু হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর।  কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু বলে অভিযোগ।

মৃত ওই ৪ ব্যক্তির নাম ছালমু মিয়া, জোবেদ আলি, আমজাদ হোসেন, নামিদ মিয়া বলে জানা গেছে। বাহিনীর দাবি, হঠাৎই ৩০০-৪০০ লোক ঘিরে ধরে তাদের। দু-পক্ষের ঝামেলা থামাতে এবং নিজেদের আত্মরক্ষার্থেই গুলি চালাতে বাধ্য হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী।

কমিশনে অভিযোগ তৃণমূলের। কমিশনে ই-মেলে অভিযোগ ডেরেক ও'ব্রায়েনের। এলাকা জুড়ে তৃণমূলের কর্মী সদস্যরা রয়েছেন। বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীই গুলি চালিয়েছে। যে রিপোর্ট কমিশনে দেওয়া হয় তা অনুসারে, দুই দলের সংঘর্ষ বেধে গিয়েছিল। থামাতে গিয়ে আক্রান্ত হয় বাহিনী। আত্মরক্ষার্থে গুলি চালাতে হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে।

শুধু শীতলকুচিই নয়, আজ দিনহাটা কেন্দ্রও উত্তপ্ত হয়ে পড়ে। দিনহাটায় তৃণমূল প্রার্থী উদয়ন গুহর ওপর হামলার অভিযোগ আসে। কোচবিহারের পাঠানখুলিতে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ। সকালেই শীতলকুচির পাগলা পীরে গুলি চলে ও এক যুবকের মৃত্যু হয়। বেআইনি জমায়েত রুখতে নামানো হয় ব়্যাফ, ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে উপস্থিত হয়।

আরও পড়ুন, হেলমেট পরে বুথে বুথে ঘুরছেন নাটাবাড়ির তৃণমূল প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ

সকাল থেকেই শীতলকুচিতে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ উত্তাপের চেহারা নেয়। বিজেপি কর্মীর মাথায় টিনের ড্রাম ঢুকিয়ে মারধরের অভিযোগ আসে। শীতলকুচি, নাটাবাড়ি, তুফানগঞ্জ ও দিনহাটার কয়েকটি বুথের বাইরে বিজেপি গুন্ডারা ঝামেলা করে বলে অভিযোগ ওঠে। তৃণমূল এজেন্টদের বুথে প্রবেশ করতে বাধা দেওয়ারও অভিযোগ আসে। নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করে তৃণমূল দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানায়।