মালদার গাজোলে (Gazole) কালীপুজোর পরেরদিন যে মুণ্ডহীন দেহ উদ্ধার সেই ঘটনায় শনিবার তিন যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। এদের মধ্যে একজন মালদা কংগ্রেসের জেলা সফাপতি শেফালি সরকারের ছেল সৌম্যজিত সরকার (২২)। বাকি দু'জন ফারুক (২৮) ও আশিস চৌধুরি (১৯)। জানা যাচ্ছে, আশিস সৌম্যজিতের ভালো বন্ধু এবং ফারুক হলেন গাড়ির চালক। প্রাথমিক তদন্তে জানা যাচ্ছে এই ঘটনার মাস্টারমাইন্ড সৌম্যজিত। যদিও এখনও তাঁরা সেকথা স্বীকার করেছে কিনা সেই বিষয়ে কিছুই জানা যায়নি। অন্যদিকে উদ্ধার হওয়া মৃতদেহের পরিচয় জানা গিয়েছে। মৃত ব্যক্তির নাম কৃষ্ণপদ রায়। এবং সে একজন মানসিক ভারসাম্যহীন রোগী।
অনুমান করা হচ্ছে, বেশ কয়েকদিন ধরেই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বেলবাড়ি এলাকার অধিকারী পাড়ার বাসিন্দা কৃষ্ণপদের ওপর নজর রাখছিল সৌম্যজিতরা। যেদিন দেহ উদ্ধার হয় সেদিন সংবাদমাধ্যমের খবর পরেই গাজোল থানায় যান মৃতের পরিবার। জানা যাচ্ছে, গত বুধবার থেকেই নিখোঁজ ছিলেন সে। স্থানীয় থানায় দায়ের করা হয়ছিল অভিযোগও। তবে অভিযুক্তদের কাউকেই পরিবারের লোকজনেরা চেনেন না বলে জানিয়েছেন। আর তারপরেই পুলিশ মনে করছে নরবলি দেওয়ার জন্য আগে থেকেই পরিকল্পনা করে মাঠে নেমেছিলেন সৌম্যজিতরা।
পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়কের যে জায়গা থেকে দেহ উদ্ধার হয়ছিল, সেই জায়গার থেকে কিছুটা দূর থেকে একটি দূর্ঘটনাগ্রস্থ গাড়িও উদ্ধার হয়। গাড়ির দরজায় রক্ত ছিল বলে জানা গিয়েছে। যদিও সৌম্যজিতের পরিবারের দাবি, কালীপুজোর দিন তাঁদের গাড়ির দুর্ঘটনা ঘটেছিল। আর তাতেই আশিস আহত হয়, যার ফলে তাঁকে গাজোল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়ছিল। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেই দাবি উড়িয়ে দেয়। অন্যদিকে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাঁদের কথায় একাধিক অসঙ্গতি ধরা পড়ে। তবে মুণ্ডহীন দেহ সঙ্গে তাঁদের কোনও সম্পর্ক নেই বলেই এদিন দাবি করে অভিযুক্তরা।