Kolkata: সংস্কৃত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের গোডাউন থেকে উদ্ধার ২০০ বছরের পুরোনো ২টি সিন্দুক, মিলল মূল্যবান নথি
প্রতীকী (Photo: Pixabay)

কলকাতা, ২৯ নভেম্বর: সংস্কৃত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ( Sanskrit College and University) গোডাউন থেকে ২০০ বছরের পুরোনো দুটি সিন্দুক (Locker) উদ্ধার। কয়েকদিন আগেই কলেজে সংস্কারের কাজ চলাকালীন উদ্ধার হয় একজোড়া সিন্দুক। শুক্রবার সেই সিন্দুক ২টি খোলার চেষ্টা হয়। চার ঘণ্টার চেষ্টায় খোলা হয় সিন্দুক। সিন্দুক থেকে বেশ কয়েকটি নথি উদ্ধার হয়েছে। সিন্দুক ২টি যে গোডাউন থেকে পাওয়া যায়, সেই গোডাউনেই এক সময় পাওয়া গেছিল ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের (Ishwar Chandra Vidyasagar) রেজিস্ট্রার খাতা। উদ্ধার হওয়া সেই সিন্দুক থেকে মিলল নানা মূল্যবান নথিপত্র, রুপোর পদক, চেক ইত্যাদি। তবে তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের তৈরি বিধবাদের জন্য তৈরি ফান্ডের নথি।

২৪ ঘণ্টার খবর অনুযায়ী, ব্রিটিশ শাসনে বিদ্যাসাগরের হাত ধরেই বিধবা বিবাহের আইন পাস হয়েছিল। বিধবাদের সাহায্যার্থে যে অর্থও বরাদ্দ করা হয়েছিল, সে প্রমাণও এবার দিল ২০০ বছরের পুরনো সিন্দুকটি। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোমা ব্যানার্জি সংবাদ মাধ্যমের সামনে তুলে ধরেন একটি পুরনো নথি। 'মুক্তকেশী দেবী উইডো ফান্ড' নামাঙ্কিত সেই নথিতে কোনও স্বামীহারা মহিলা কত অর্থ পেয়েছেন, তার বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে। শ্রীধরপুর, জেলা বর্ধমানের উল্লেখ রয়েছে সেখানে। তাতে ৮ টাকা করে দেওয়া হত বিধবাদের। মিলেছে প্রাপকের আঙুলের ছাপও। নথিটি ১৯৫৬ সালের বলে জানানো হয়েছে। আরও পড়ুন: Rahul Sinha On By Election Result: ইভিএম জালিয়াতি করে ভোটে জিতেছে তৃণমূল, তোপ দাগলেন রাহুল সিনহা

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালের খবর অনুযায়ী, এই নথির পাশাপাশি আরও বেশ কিছু মূল্যবান সম্পত্তির হিসেব সংক্রান্ত নথি মিলেছে। মিলেছে সাতটি বন্ধ খাম। শ্রী এ ভেঙ্কটরমন শাস্ত্রীর নামে ১৯৪৬ সালের ব্যাঙ্কের অর্থ জমার কাগজপত্রও পাওয়া গিয়েছে সিন্দুক থেকে। এছাড়াও তিনটে রুপোর পদক উদ্ধার হয়েছে। দুটি গঙ্গামণি দেবী রুপোর পদক ও একটি এ এন মুখার্জি রুপোর পদক পাওয়া গেছে। সংস্কৃতিতে প্রথম স্থানাধিকারীকে সংস্কৃত ও প্রেসিডেন্সি কলেজ মিলে গঙ্গামণি দেবী রুপোর পদকে সম্মানিত করা হত। একটি ১৯১৯ এবং অন্যটি পদকটি ১৯৬৫ সালের পদক। এ এন মুখার্জি রুপোর পদকটি দেওয়া হত ইংরাজি ভাষার সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপককে। বাকি এনভেলপগুলি ভিসির অনুমতি নিয়ে খোলা হবে। এই সমস্ত নথির ঐতিহাসিক মূল্য ঠিক কতটা, তা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য।