Representational Image (Photo Credits: File Image)

কলকাতা, ১৫ সেপ্টেম্বর: মা-বাবার স্বপ্ন ছিল মেয়ে বড় হয়ে আইপিএস (IPS) হবে। বাবা ছিল আইএস (IAS Officer) অফিসার। মায়ের কড়া নজরেই চলত সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীর পড়াশুনা। তবে লকডাউনে ঘরে বসে পড়াশোনায় ক্রমশ অবসাদ ঘিরে ধরেছিল তাকে। লকডাউনে স্কুল (Lockdown) বন্ধ থাকায় অনলাইনে চলছিল পড়াশুনা। আর তাতেই কোথাও গিয়ে ওই কিশোরীর মনে হয়েছিল, স্বপ্নপূরণের জন্য সঠিকভাবে পড়াশোনা

হচ্ছে না। তা নিয়ে মায়ের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটিও হয়। কিন্তু পড়াশোনা

নিয়ে সমস্যার সমাধান না হওয়ায় অবশেষে আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন ১৩ বছরের কিশোরী। আমহার্স্ট স্ট্রিট (Amherst Street Kolkata) পুলিশ আবাসনে থাকা কিশোরী মঙ্গলবার দুপুরে ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে। মিলেছে সুইসাইড নোটও। সেই নোটেও মৃত্যুর এই কারণের ইঙ্গিত রেখে গেছে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী।

মঙ্গলবার দুপুরে ১০ তলা বিল্ডিংয়ের নীচে রক্তাক্ত অবস্থায় কিশোরীকে পড়ে থাকতে দেখেন আবাসনের অন্যান্য বাসিন্দারা। তৎক্ষণাৎ তাকে উদ্ধার করে এনআরএস মেডিকেল কলেজে নিয়ে গেলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া সুইসাইড নোটে লেখা ছিল, খুব চেষ্টা করলেও পরীক্ষা ভাল হয়নি তার। আইপিএস হওয়ার স্বপ্নও আর সফল হবে না। মেয়ের আকস্মিক মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ কিশোরীর মা। ভেঙে পড়েছেন তার বাবাও। যিনি লালবাজারের কম্পিউটার সেলে অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইনস্পেকটর পদে নিযুক্ত রয়েছেন। পড়ুন: India-China Border Tension: 'সীমান্তে চিনের অবস্থান নিয়ে দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করেছেন মোদিজি', ভারত-চিন সীমান্ত বিবাদ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে একহাত রাহুল গান্ধির

ঠিক কী কারণে মৃত্যু? পরীক্ষায় ভাল ফল না হওয়ার জেরেই কী এইভাবে মৃত্যুর পথ বেছে নিতে হল কিশোরীকে! সেটি তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তের রিপোর্ট বলছে, স্বপ্নপূরণে ব্যর্থ হওয়ার কথা ভেবে মানসিক অবসাদেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় কিশোরী। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এখনও পুলিশের হাতে এসে পৌঁছয়নি। পাশাপাশি কিশোরীর পরিবারের সঙ্গেও কথা বলছে তদন্তকারী অফিসাররা।