কলকাতা: ChatGPT আসার পরেই বিপ্লব ঘটে গেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দুনিয়ায়। ২০২২ সালের নভেম্বর মাসের মাসে বাজারে আসার পরে মাত্র ২ মাসে এটা ব্যবহার করছেন ১০ কোটি মানুষ। ইতিমধ্যেই সবথেকে দ্রুতগতি গতি বৃদ্ধি পাওয়া এই অ্যাপ্লিকেশন ইন্টারনেটের ইতিহাসেও নয়া নজির গড়েছে।

কিন্তু, বর্তমানে বহুলচর্চিত এই অ্যাপ্লিকেশন নিয়ে চিন্তা বেড়েছে বিশেষজ্ঞদের। কেউ কেউ বলছেন এর ফলে কর্মহীন হবে বহু মানুষ। প্রযুক্তি সংক্রান্ত কাজের সঙ্গে যুক্ত আছেন এরকম অনেক মানুষ চাকরি খোয়াতে পারেন ChatGPT-এর সৌজন্যে।

সূত্রের খবর, এর ফলে সংবাদমাধ্যম (media), আইন (legal), মার্কেট রিসার্চ (market research), শিক্ষক (teachers), গ্রাহক পরিষেবা (customer care service), গ্রাফিক ডিজাইনার (graphic designers), আর্থিক বিষয় সংক্রান্ত চাকরি ও স্টক মার্কেট। যদিও এখনই এই নিয়ে চিন্তার কিছু নেই বলেও আশ্বস্ত করেছেন তাঁরা। কারণ, এখনও চ্যাটজিপিটিতে কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে বলে জানা গেছে।

ChatGPT এর পুরো কথা হল Chat Generative Pre-Trained Transformer । এটি একটি বৈপ্লবিক এআই প্রযুক্তি যা ব্যবহারকারীকে বড় আকারের প্রশ্ন ও তার উত্তর অনুসন্ধান করতে সাহায্য করে। ChatGPT-এর একটি কথোপকথনমূলক আকারে যোগাযোগ করার অসাধারণ ক্ষমতা রয়েছে যা একজন মানুষের পক্ষে সহজে বোধগম্য।

ChatGPT-এ GPT মানে হচ্ছে জেনারেটিভ প্রি-ট্রেনিং ট্রান্সফরমার। জেনারেটিভ একটি মডেল যা পাঠ্য তৈরি করতে পারে। প্রাক-প্রশিক্ষণ এই সত্যের সাথে সম্পর্কিত যে মডেলটিতে প্রচুর পরিমাণে ডেটা রয়েছে। GPT-এ ট্রান্সফরমার AI মডেলের আর্কিটেকচারকে বোঝায়। তাই, ChatGPT এর সহজ অর্থ হল এই AI দীর্ঘ এবং সংক্ষিপ্ত উভয় ধরনের অনুরোধ পরিচালনা করতে সক্ষম। এটি ব্যবহারকারীর আদেশ অনুসারে পরিবর্তনশীল দৈর্ঘ্যের পাঠ্যও তৈরি করতে পারে। আরও পড়ুন: Twitter Gold Verification: ব্যবসা ও ব্র্যান্ডের গোল্ড ভ্যারিফিকেশনে গুনতে হবে মাশুল, নতুন বিজ্ঞপ্তিতে জানাল টুইটার