Paytm (Photo credit: PTI)

ফের গুগল প্লে স্টোরে (Google Play Store) ফিরে এল পেমেন্ট অ্যাপ পেটিএম এবং পেটিএম (Paytm) ফার্স্ট গেমস। নিয়ম না মানায় প্লে স্টোর থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল এই দুটি অ্যাপকে। সন্ধে নাগাদ টুইট করে প্লে স্টোরে ফিরে আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পেটিএম। সম্প্রতি একটি নয়া ফিচার নিয়ে আসে পেটিএম। যার মাধ্যমে অনলাইনে কোনও টুর্নামেন্টে সরাসরি টাকা লাগানো যেত। সেই কারণেই প্লে স্টোর থেকে পেটিএম ও পেটিএম ফার্স্ট গেমস অ্যাপ সরিয়ে দেয় গুগল। নতুন করে কোনও ব্যবহারকারী এই দুটি অ্যাপ ডাউনলোড ও আপলোড করতে পারছিল না। আইপিএল ২০২০ শুরুর এক দিন আগে গুগল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল পেটিএম, এটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবেই মনে করা হচ্ছে। পেটিএম এবং পেটিএম ফার্স্ট গেমস- এই দু'টি অ্যাপই One97 কমিউনিকেশন লিমিটেডের অধীনে।

পেটিএম এবং পেটিএম ফার্স্ট গেমস গুগল প্লে স্টোরে পাওয়া না গেলেও, পেটিএম ফর বিজনেস, পেটিএম মল এবং পেটিএম মানি-সহ অন্যান্য অ্যাপগুলি সার্চ করলে এখনও মিলছে গুগল প্লে স্টোরে। CNBC TV18-র খবর অনুযায়ী, পেটিএমের ডেভলপারদের কিছুদিন আগেই সতর্ক করেছিল গুগল। আইনের তোয়াক্কা না করেই বেআইনি লেনদেনে মদত দিচ্ছিল পেটিএম। এমনটাই অভিযোগ পেটিএমের বিরুদ্ধে এনেছিল গুগল। কিন্তু তারপরও নিজেদের নিয়মনীতিতে কোনওরকম পরিবর্তন না আনার জেরে প্লেস্টোর থেকেই সরিয়ে দেওয়া হয় এই অ্যাপটিকে। আরও পড়ুন: Paytm Removed From Google Play Store: জুয়ায় প্ররোচনা! অভিযোগে গুগল প্লে স্টোর থেকে সরিয়ে দেওয়া হল Paytm

গুগল প্লে স্টোর থেকে পেটিএম উধাও হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই গুগলের পণ্য, অ্যান্ড্রয়েড সুরক্ষা এবং গোপনীয়তা বিভাগের ভাইস-প্রেসিডেন্ট সুজান ফ্রে এই বিষয়টি নিয়ে একটি মন্তব্য পেশ করেছেন। তিনি লিখেছেন, "অনলাইনে ক্যাসিনো বা ওই ধরণের জুয়া সংক্রান্ত কোনও খেলাকে আমরা একেবারেই বরদাস্ত করি না। ব্যবহারকারীদের ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য আমরা এই নীতিগুলি নিয়েছি। এই অ্যাপটির মাধ্যমে একটি এক্সটার্নাল ওয়েবসাইটের লিঙ্ক করা ছিল। যার মারফত পেইড টুর্নামেন্ট খেলে পুরস্কার হিসেবে নগদ টাকা জিতে নেওয়ার সুযোগ ছিল।" তিনি আরও বলেছেন, "যদি আমরা দেখি কোনও অ্যাপ আইন লঙ্ঘন করছে। আমরা সেই সংস্থার ডেভলপারকে সতর্ক করি। কিন্তু তারপরও যদি তারা নিয়মের তোয়াক্কা না করে, আমরা আরও গুরুতর পদক্ষেপ নিয়ে থাকি। যেগুলির মধ্যে গুগল প্লে ডেভেলপারের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়ার মতো চরম সিদ্ধান্তও থাকতে পারে।"