বেঙ্গালুরু, ১২ সেপ্টেম্বর: অ্যাপ ক্যাবের সুবিধা নিতে ভারতীয়রা এখন অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছে. মিটারের ট্যাক্সি ফেলে এদেশের জনগণ এখন ওলা (Ola) উবেরর দিকে দৌড়ে যায়। এবার অ্যাপ ক্যাব ভাড়ায় নিয়ে চালানোর সুযোগ দিল ওলা। কর্ণাটকে এই পরিষেবা শুরু হল বলে। অদূর ভবিষ্যতে ভারতের বিভিন্ন মেট্রো শহরে এই পরিষেবা চালু করে দেবে অ্যাপ ক্যাব সংস্থা (Online app-based cab aggregator) ওলা। মূলত কর্ণাটকের পরিবহন দপ্তরের তরফে এই কাজের জন্য ছাড়পত্রও পেয়েছে সংস্থাটি। এবার থেকে বেঙ্গালুরু শহরের বাসিন্দারা নিজে গাড়ি চালিয়ে ঘুরতে চাইলে ওলা-র থেকে ভাড়া নিতে পারবেন। মূলত নতুন এই সেলফ ড্রাইভ সেগমেন্টে (self-drive car rental service) মোট ১০ হাজার গাড়ি শহরে রাজপথে নামাচ্ছে ওলা।
এই পরিষেবাকে আরও আকর্ষণীয় করতে হ্যাচব্যাকস, স্পোর্টস ইউটিলিটি সেডানসের সুবিধা যুক্ত গাড়িগুলিই আসছে। কর্পোরেট সংস্থাগুলি যে গাড়ি লিজ নেয় সেই সংক্রান্ত মডেলেই ওলা সুযোগ দেবে। অল্পদিনের জন্য গাড়ি ভাড়া নিতে পারবেন, থাকবে দীর্ঘ মেয়াদি গাড়ি ভাড়া নেওয়ার সুবিধা। সংস্থার নিজস্ব চালকরাই প্রথম এই প্রকল্পে কাজ করবেন। সেখানে বিষয়টি সড়গড় হলে তারপর জনগণের হাতে পরিষেবা ছাড়া হবে। এখন শুধু বেঙ্গালুরুতেই (Bengaluru) এই সুবিধা পাওয়া গেলেও পরবর্তীতে গোটা দেশে পরিষেবাটি চালু হয়ে যাবে। এই সেলফ ড্রাইভ পরিষেবা চালুর সঙ্গে সঙ্গেই ওলা চলে আসবে প্রতিযোগিতার মধ্যে। যেখানে প্রতিদ্বন্দ্বির তালিকায় ড্রাইভজি, জুমকার, মাইলসের মতো প্রতিদ্বন্দ্বি আগে থেকেই রয়েছে। বর্তমানে এই সংস্থা গুলির সেলফ ড্রাইভ পরিষেবা যুব সম্পর্দায়ের কাছে দারুণ জনপ্রিয়। আরও পড়ুন-মাসিক অ্যাপ ব্যবহার করে ফাঁস হয়ে যেতে পারে আপনার গোপনীয় তথ্য
সম্প্রতি দেশের আর্থিক মন্দার জেরে গাড়ি শিল্পের অবস্থা বেশ সঙ্গীন। এমতাবস্থায় কোনও পরিকল্পনা বাতলে গাড়ি শিল্পকে চাঙ্গা করার বদলে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ ওলা উবেরকেই দুষেছেন। তাঁর মতে, দেশের মানুষ এখন ওলা উবেরের মতো অ্যাপ ক্যাবে ভরসা রাখছে, তাই গাড়ি কিনছে না। আর বিক্রি কমতেই গাড়ি শিল্পে দুর্দিন শুরু হয়েছে। অর্থমন্ত্রীর এহেন মন্তব্যের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনদের গুঞ্জন শুরু। নিত্যনতুন ট্রোলে নির্মলা সীতারমণ হাঁফিয়ে ওঠেন। বাধ্য হয়েই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর সমর্থনে পাশে এসে দাঁড়ান কেন্দ্রীয় পরিবহনমন্ত্রী নীতিন গডকড়ি। তিনি বলেন। এমনটা বলেননি অর্থমন্ত্রী, তাঁর বক্তব্যকে বিকৃত করা হয়েছে। এই ঘটনার পর থেকেই একেবারে আলোচনার শীর্ষে চলে এসেছে ওলা-উবের।