ধরুন এমন কিছু হল, এটিএমে টাকা তুলতে গিয়ে লাগল না পিন নম্বর, শুধু আঙুলের ছোঁয়ায় হাতে চলে এলে টাকা। কষ্ট কল্পনা নয় এমনটাই ঘটতে চলেছে এবার। ইতিমধ্যেই বাজারে আসতে চলেছে এই এটিএম, সৌর শক্তিতেই(Solar Panel) চলবে এটি।বছর কুড়ি আগে এদেশে এটিএম চালু হলেও দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে শুধু বিদ্যুতের অভাবেই এটিএম চালু হয়নি। এমনিতেই গ্রামীণ ভারতের বেশিরভাগ বাসিন্দাই এখনও শিক্ষার আলো দেখেননি। তাই এটিএম চালু হলেও যে কাজে আসত তার কোনও কারণ নেই। এই কারণেই দেশের ৬ লাখ ৩৪ হাজার গ্রামে পৌঁছায়নি এটিএম পরিষেবা।
এবার পরিস্থিতি বদলেছে, কলকাতার(Kolkata) একদল বিজ্ঞানীর উদ্যোগে সেই অজ পাড়াগাঁয়ে বসতে চলেছে এটিএম। তবে সৌর শক্তির সাহায্যে চলবে সেই এটিএম। মাত্র চারঘণ্টা চার্জেই এটিএম কাজ করবে। লাগবে নাএটিএম কার্ড বা পিন, তাই পড়াশোনা না জানাটা এক্ষেত্রে কোনও সমস্যার হবে না। দেশে এখন এটিএমের সংখ্যা ২ লক্ষ ৫ হাজার ১৫১টি। অথচ মাত্র ১০ শতাংশ গ্রামে এখনকার এটিএম বসানো সম্ভব হয়েছে।
সাধারণ মানুষের বন্ধু হয়ে আসা এই এটিএমের নাম হতে চলেছে জনতা সোলার এটিএম। আঙুলের স্পর্শেই এটিএম থেকে বেরোবে টাকা। তাই বৃদ্ধ বয়সে পিন নম্বর মনে না রাখার বিড়ম্বনায় পড়তে হবে না কাউকেই। কার্ড নেই, তবুও উঠছে টাকা। হ্যাঁ টাকা তো উঠবেই কারণ গ্রাহকের ফোনের গায়েই লাগানো আছে স্টিকার, সেটি ছুঁইয়ে শুধু বায়োমেট্রিক ছাপ রাখুন জনতা সোলার এটিএমের( Janata Solar ATM) প্রসেসরে টাকা আপনা আপনিই বেরিয়ে আসবে। তবে এই স্টিকার বা টোকেন বেহাত হলেও ভয় পাওয়ার কিছু নেই। কেননা আঙুলের ছাপ ছাড়া গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা ডেবিট হবে না। তাই স্টিকারটি চুরি গেলে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
বলা বাহুল্য, এই বিশেষ এটিএমের ভিতরে থাকবে বিশেষ ভাবে বানানো একটি সিপিইউ(CPU) বা মাইক্রোপ্রসেসর। যার মধ্যে থাকবে ক্যামেরা-সহ বিভিন্ন অংশ। থাকবে সোলার পিভি, মাইক্রোপ্রসেসর, মাইক্রোকন্ট্রোলার, অন্যান্য ইনপুট, সার্ভার, স্পিকার, ক্যাশ ডিসপেন্সার, সৌরবিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা, টাচ স্ক্রিন ও ফিঙ্গারপ্রিন্ট মডিউল। সঙ্গে সৌর প্যানেল থাকবে। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা, কবে আসছে জনতা সোলার এটিএম।