Babar Azam (Photo Credits: Getty Images)

রাওয়ালপিন্ডি, ৮ মার্চ: দীর্ঘ ২৪ বছর পর পাকিস্তানে টেস্ট খেলতে নেমেছিল অস্ট্রেলিয়া। এত দীর্ঘ প্রতীক্ষার একটা টেস্টকে মাঠে মেরে ফেলল রাওয়ালপিন্ডির উইকেট। টি-২০-র বাড়বড়ন্তর মাঝে টেস্ট ক্রিকেটের খুব খারাপ বিজ্ঞাপন রেখে একেবারে ঘুমপাড়ানিভাবে শেষ হল পাকিস্তান-অস্ট্রেলিয়া টেস্ট। একেবারে ধীরগতির ব্যাটিং, একেবারে পাটা পিচ, একেবারে ঘুমপাড়ানি ম্যাচে সিরিজের প্রথম টেস্টের মোট পাঁচ দিনে উঠল মোট ১১৮৭ রান, পড়ল মাত্র ১৪টি উইকেট। এটুকু পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট কতটা ঘুমপাড়ানি হয়েছে এই টেস্ট। প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেটে ৪৭৬ রান করে ডিক্লেয়ার দিয়েছিল পাকিস্তান। এর জবাবে অস্ট্রেলিয়া ৪৫৯ রানে অল আউট হয়ে যায়। কিন্তু দুটো দলই বিশেষ করে পাকিস্তান এত ধীরগতিতে ব্যাটিং করে যে দুটো ইনিংস শেষ হতে চার দিন আর একটা সেশন লেগে যায় (মোট ১৫টি সেশন)। যেভাবে দু দল খেলল, আর পিচের যা অবস্থা তাতে এই টেস্ট দশদিনের হলে তাতেও ফল আসত কি না সন্দেহ।

এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান বিনা উইকেটে ২৫২ রান করার পর, দুই অধিনায়কের সম্মতিতে খেলা শেষের আগেই ম্যাচের নিষ্পত্তি ঘোষণা করা হয়। দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানের দু ওপেনার আবদুল্লা সফিক (১৫৬) ও ইমাম উল হক (১১১) অপরাজিত সেঞ্চুরি করেন। দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করার নজির গড়লেন ইনজামাম উল হকের ভাইপো ইমাম উল হক। পাকিস্তান এই টেস্টে দুই ইনিংস মিলিয়ে করে মোট ৭২৮, সেখানে তাদের মাত্র ৪টি উইকেট পড়েছে। প্রথম ইনিংসে বড় সেঞ্চুরি করেছিলেন ইমাম উল হক (১৫৭), ও আজহার আলি (১৮৬৫)। আরও পড়ুন: রয়ের জায়গায় রায়না, সাকিব? বড় ঘোষণা করল গুজরাট টাইটান্স

দেখুন সংক্ষিপ্ত স্কোর

অস্ট্রেলিয়ার বোলাররা রাওয়ালপিন্ডির পাটা পিচে একেবারে নাজেহাল হয়ে যান। পুরো ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বোলাররা মোট ২৩৯ ওভার বল করে মাত্র ৩টি উইকেট পান। পাক অধিনায়ক বাবর আজম রান আউট হয়েছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার ৯জন ক্রিকেটার বল করেন। তবে কেউই কোনও উইকেট পাননি। বল করেননি শুধু ডেভিড ওয়ার্নার ও উইকেটকিপার অ্যালেক্স ক্যারি। এর আগে পঞ্চম দিনের প্রথম সেশনে অস্ট্রেলিয়া অল আউট হয় ৪৫৯ রানে। পাকিস্তানের স্পিনার নৌমান আলি ৬ উইকেট নেন।