নিজের সব পেয়েছির ফুটবল কেরিয়ারে আরও এক বড় মাইলস্টোন গড়লেন লিওনেল মেসি। গতকাল, শনিবার রাতে লিগা ১-এর ম্যাচে নান্তেসের বিরুদ্ধে গোল করে, করিয়ে দলকে জেতান মেসি। এরই সঙ্গে ক্লাবের জার্সিতে গোল করা এবং গোল করানো (পরিভাষায় যাকে বলে অ্য়াসিস্ট)-র মিলিত হিসেবে হাজারটি গোল করা হয়ে গেল মেসির। ক্লাব ফুটবলে মেসি এখনও পর্যন্ত করেছেন ৭০১টি গোল। আর গোলের পিছনে প্রধান ভূমিকা বা অ্যাসিস্ট করেছেন ২৯৯টি। বার্সেলোনার মত পিএসজি-র জার্সিতেও গোলের পাশাপাশি অ্যাসিস্টেও সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখছেন।

হিসেব বলছে, চলতি মরসুমে মেসি ৩৯টি ম্যাচ খেলে ৩০টি গোল করেছেন আর ২০টি অ্যাসিস্ট করেছেন। বিশ্বকাপ জেতা মেসি এবার ফিফা দ্য বেস্টের পর তাঁর অষ্টম ব্যালন ডি'অর জয়ের পথেও অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন। দেশে ও ক্লাব মিলিয়ে মেসি তাঁর বর্ণময় কেরিয়ারে ৭৯৯টি গোল করে ফেললেন।

প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে গোল করার পাশপাশি, যার পাশ থেকে গোল হয় বা অ্যাসিস্ট থেকে গোল হয় সেটিকেও সমান রকম গুরুত্ব দেওয়া হয়। আর মেসি তো শুধু আর নিজে গোল করেন না, খেলাটা পরিচালনা করেন, গোল করান। এই বিষয়ে মেসির চেয়ে অনেকটাই পিছিয়ে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো (৯১২)। অথচ ক্লাবের জার্সিতে মেসির চেয়ে ১১৬টা বেশী ম্যাচ খেলেছেন সিআরসেভেন।

মেসির রেকর্ড অ্যালার্ট, দেখুন নান্তেসের বিরুদ্ধে করা মেসির গোলের ভিডিয়ো

ম্যাচের ১২ মিনিটে মেসির গোলে এগিয়ে গিয়েছিল পিএসজি। এরপর মেসির গোলের ৫ মিনিট বাদে নান্তেসের হুয়েব হাদয়ামের আত্মঘাতী গোলে ব্যবধান বাড়ায় পিএসজি। কিন্তু ম্যাচের ৩১ ও ৩৮ মিনিটে দুটো গোল করে ম্যাচে সমতায় ফিরে খেলা জমিয়ে দেয় নান্তেস। এরপর ড্যানিয়ো পেরেরা ৬০ মিনিটে দুরন্ত গোল করে পিএসজি-কে এগিয়ে দেন। খেলার ইনজুরি টাইমে পিএসজি-র জয় নিশ্চিত করেন কিলিয়ান এমবাপে। ২৬ ম্যাচে ৬৩ পয়েন্ট পেয়ে লিগ তালিকায় সবার আগে পিএজি। দ্বিতীয় স্থানে মার্সেই (২৫ ম্যাচে ৫২), তার পিছনে লেন্স (৫১) ও মোনোকা (৫০)