Rinku Singh, Rashid Khan, (Photo Credits: Twitter)

Rinku Singh : রশিদ খানের (Rashid Khan) হ্যাটট্রিক ম্লান। শেষ ওভারে পরপর পাঁচ বলে পাঁচটা ওভার বাউন্ডারি মেরে একেবারে নিশ্চিত হারা ম্যাচ কলকাতা নাইট রাইডার্সকে জিতিয়ে দিলেন রিঙ্কু সিং (Rinku Singh)। শেষ ওভারে কলকাতাকে জিততে হলে করত হত ২৯ রান। ক্রিজে ছিলেন রিঙ্কু সিং ও উমেশ যাদব। গুজরাটের পেসার যশ দয়ালের (Yash Dayal) ম্যাচের শেষ ওভারের প্রথম বলে উমেশ যাদব সিঙ্গল নিয়ে স্ট্রাইক দেন রিঙ্কুকে। রিঙ্কু এরপর টানা পাঁচটা ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দলকে জেতান। এমনই অবিশ্বাস্য ম্যাচ হল মোদী স্টেডিয়ামে। এর আগে গুজরাটের অধিনায়ক রশিদ খান হ্যাটট্রিক করে দলকে প্রায় জিতিয়েই দিয়েছিলেন। কিন্তু রিঙ্কু একেবারে অবিশ্বাস্য খেলে সব হিসেব উল্টে দেন।

৬টা ওভার বাউন্জারি, একটা বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ২১ বলে ৪৮ রানে অপরাজিত থাকেন রিঙ্কু। জবাব দিলেন তাঁকে কেকেআর-এর বারবার সুয়োগ দেওয়া নিয়ে যাবতীয় সমালোচনার।  রশিদ খানের হ্য়াটট্রিকের পর কলকাতাকে জিততে হলে করতে হত ২১ বলে ৫২ রান। সেখান থেকেই জিতল কলকাতা।

অবিশ্বাস্য ৪০ বলে ৮৩ রানের ইনিংস খেলা ভেঙ্কটেশ আইয়ারের চেষ্টাকে বৃথা হতে দিলেন না রিঙ্কু।। ভেঙ্কটেশ-নীতীশ রানা যতক্ষণ ক্রিজে ছিলেন তখন মনে হচ্ছিল আমেদাবাদে স্মরণীয় জয় পেতে চলেছে কেকেআর। আরও পড়ুন-চোট পেয়ে ছিটকে গেলেন দীপক চাহার

দেখুন শেষ সাত বলে রিঙ্কু করলেন ৪০ রান

দেখুন রশিদের হ্যাটট্রিকের ভিডিয়ো

কিন্তু আলজারি জোসেফের বলে ভেঙ্কটেশ আইয়ারের আউট, আর গুজরাটের আফগানি অধিনায়ক রশিদের হ্য়াটট্রিকে হারের মুখে চলে যায় শাহরুখ খানের দল। ইনিংসের ১৭ তম ওভারের প্রথম তিনটি বলে রশিদ আউট করেন আন্দ্রে রাসেল (১), সুনীল নারিন (০) ও শার্দুল ঠাকুর (০)-কে। খেলা সেখানেই শেষ হয়ে যায়। এরপর রিঙ্কু সিং, উমেশ যাদবরা নিয়মরক্ষার ব্যাটিং করতে থাকেন। ৩ উইকেটে ১৫৪ থেকে ৭ উইকেটে ১৫৫ হয়ে যায় কেকেআর। কিন্তু রিঙ্কুর শেষ ওভারে টানা পাঁচটা ওভার বাউন্ডারি হাঁকানো ইনিংস সব হিসেব উল্টে দেয়।

মানে মাত্র এক রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারায় কলকাতা। তৃতীয় উইকেটে রানা-আইয়ার ৫৫ বলে ১০০ রানের পার্টনারশিপ করে দলকে জেতার মত জায়গায় নিয়ে গিয়েছিলেন। ব্যক্তিগত ৪৫ রানে অধিনায়ক নীতীশ রানা ফেরার সময় কলকাতাকে জিততে হলে করতে হত ৪১ বলে ৭৭ রান, হাতে ছিল ৭ উইকেট। জয়ের কাজটা সহজই মনে হচ্ছিল বেগুনি জার্সিধারীদের। কিন্তু তারপরই মোদী স্টেডিয়ামে রশিদ ম্যাজিক। ৪ ওভার বল করে ৩৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন রশিদ। তারপর একেবারে ওস্তাদের মার শেষ রাতের ঢঙে রিঙ্কুর মার।

এর আগে শেষের দিকে বিজয় শঙ্করের অবিশ্বাস্য ৬৩ রানের ইনিসে ভর করে রবিবার আমেদাবাদে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে গুজরাট টাইটান্স করে ২০৪ রান। ইনিংসের শেষ ১৫ বলে গুজরাট করে ৫১ রান।