শনিবার আইপিএলে জয়পুরে অবিশ্বাস্য ম্যাচ। রয়্যাল যুদ্ধে দুই ইনিংসে হল দুটো সেঞ্চুরি। দুটো সেঞ্চুরিই করলেন দুই দলের দুই মহাতারকা ওপেনার। শেষে কর্ণের ভূমিকায় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিরাট কোহলি। প্রথমে ব্যাট করে ১১৩ রানের অপরাজিত দুরন্ত ইনিংস খেলেও কোহলি হারলেন রাজস্থান রয়্যালসের ব্রিটিশ ওপেনার জস বাটলারের কাছে। ছক্কা হাঁকিয়ে সেঞ্চুরি করে বাটলারই গোলাপী শহরে 'মুকাদ্দার কা সিকন্দার।'৯৪ থেকে সেঞ্চুরি করে উইনিং স্ট্রোকটা বাটলার নিলেন ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে।
কোহলির ৭২ বলে ১১৩ রানের জবাবে বাটলারের ৫৮ বলে ১০০ রানের ইনিংসই সব ফারাক গড়ে দিল। পাঁচ বল বাকি থাকতে ৪ উইকেট হারিয়ে আরসিবি-র করা ১৮৩ রান তুলে চলতি আইপিএলে টানা চারটে ম্যাচ জিতে নিল সঞ্জু স্যামসনের রাজস্থান রয়্যালস।
দেখুন ছবিতে
💯🩷
Scorecard ▶️ https://t.co/IqTifedScU#TATAIPL | #RRvRCB pic.twitter.com/q9M6ft9By8
— IndianPremierLeague (@IPL) April 6, 2024
সেঞ্চুরি করেও প্রয়োজনের তুলনায় ধীরগতির ইনিংস খেলে নেটিজেনদের একাংশের কাঠগড়ায় কোহলি। শেষ অবধি পুরো ২০ ওভার খেলা কোহলির স্ট্রাইক রেট ১৫৬.৯৪। সেখানে বাটলারের স্ট্রাইক রেট ১৭২.৪১। টি-২০ ক্রিকেটে ব্যাটারের এই স্ট্রাইক রেট জিনিসটাই শেষ কথা বলে। কোনও কোনও সময়ে ৯ বলে ২৮ রানটা, ৬৫ বলে ১০০-র চেয়েও বেশী গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। এদিন ঠিক যেমনটা হল। বাটলার যেখানে ৫৮ বলে সেঞ্চুরি করলেন, সেখানে বিরাট করেছেন ৬৬ বলে।
টি-২০ এখানেই মুগাম্বোর চেয়েও অনেক বেশী নিষ্ঠুর মাত্র ১২০ বলের ক্রিকেটের এই ফর্ম্যাট। তবে এদিন বিরাটকে যতই ভিলেন বানানোর চেষ্টা হোক, আরসিবি-র বাকি ব্যাটাররা কিন্তু অনেক বেশী দায়ি। বাটলার-কে দারুণ সাপোর্ট দিলেন অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন (৪২ বলে ৬৯)। সেখানে বিরাট ছাড়া আরসিবি-র যে ব্যাটার একমাত্র রান করলেন সেই অধিনায়ক ফাফ দু প্লেসি ৪৪ রান করতে ৩৩টা বল সময় নিলেন। দুই দলের দুই অধিনায়কের স্ট্রাইক রেটও ফারাক গড়ল।