Bairstow's 136 (92) and captain Stokes 75* (70) . (Photo credits: Twitter)

ট্রেন্টব্রিজ, ১৪ জুন: কে বলল বাইশ গজে উত্তেজনা মানেই টি-২০ বা আইপিএল! ক্রিকেটের সেরা ফর্ম্যাট যে টেস্ট ম্যাচ সেটা আবার প্রমাণ হল। ধর তক্তা মার পেরেকের ক্রিকেটের যুগে নটিংহ্যামে ইংল্যান্ড-নিউ জিল্যান্ড টেস্টটা ব্যতিক্রম হয়ে থাকল। আজ, মঙ্গলবার নিউ জিল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয় ২৮৪ রানে। জিততে হলে ইংল্যান্ডকে করতে হত ২৯৯ রান, হাতে ছিল মাত্র ৭০ ওভার। টেস্টের শেষ দিনে চতুর্থ ইনিংসে ৭২ ওভারে ২৯৮ রান করাটা পুরোটাই হিসেবের বাইরে থাকার কথা। তার ওপর ৯৩ রানের মধ্যে ৪ উইকেটে খুইয়ে ইংল্যান্ড একেবারে কোণঠাসা হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সেখান থেকেই অবিশ্বাস্য পার্টনারশিপ করে টেস্টের ইতিহাসে অন্যতম সেরা জয়টা এনে দিলেন জনি বেয়ারস্টো ও বেন স্টোকস।

পঞ্চম উইকেটে বেয়ারস্টো-স্টোকস ১২১ বলে অবিশ্বাস্য ১৭৯ রানের পার্টনারশিপটা ইংল্যান্ডকে ২-০ এগিয়ে সিরিজ জয় নিশ্চিত করে। ৯২ বলে ১৩৬ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলে বেয়ারস্টো যখন আউট হন, তখন ইংল্যান্ড জয় থেকে মাত্র ২৬ রান দূরে। বেন ফোকসকে সঙ্গে নিয়ে বেন স্টোকস (৭০ বলে ৭৫ রান অপরাজিত) দলকে পাঁচ উইকেটে জিতিয়ে আনেন। আরও পড়ুন: অবশেষে ২০২২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারাল ভারত

দেখুন টুইট

টেস্টের পঞ্চম দিনে পুরো টি-২০-র ঢঙে খেলেন বেয়ারস্টো-স্টোকস। ম্যাচের ওই ২৫টা ওভার কিউই বোলারদের ক্লাবস্তরে নামিয়ে এনে বেয়ারস্টো মারেন ১৪টা বাউন্ডারি, ৭টা ওভার বাউন্ডারি। স্টোকস মারেন ১০টা বাউন্ডারি, ৪টে ওভার বাউন্ডারি। পুরো ৫০ ওভার খেলে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ২৯৯ রান তুলে অবিশ্বাস্যভাবে ম্যাচ বের করে নেয় ইংল্যান্ড। টেস্টের শেষ দিনে স্টোকসরা ৬ রান প্রতি ওভার করে নিলেন।

এই টেস্টের প্রথম ইনিংসে নিউ জিল্যান্ড করেছিল ৫৫৩ রান, সেখানে ইংল্যান্ড করেছিল ৫৩৯ রান। দুটো দলের প্রথম ইনিংস ঘুরতেই তিন দিন চলে গিয়েছিল। অনেকেই ফলের আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ দিনে ইংল্যান্ড ইনিংসের ৫০ ওভার পুরো ম্যাচটাই বদলে দিল। নটিংহ্যামে শুধু ইংল্যান্ড নয়, জিতল টেস্ট ম্যাচ। নটিংহ্যাম টেস্টের উত্তেজনা ছাপিয়ে গেল টি টোয়েন্টির ধুমধাড়াক্কাকেও।