ওয়েস্ট ইন্ডিজের অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেল (Andre Russell), যিনি সম্ভবত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আন্তর্জাতিক মঞ্চে তার শেষ ম্যাচ খেলেছিলেন, কেন টেস্ট ক্রিকেটের চেয়ে ক্যারিবিয়ান খেলোয়াড়রা টি-টোয়েন্টিকে একটি লাভজনক বিকল্প হিসাবে মানেন সেটা জানিয়েছেন। রাসেল বলেছেন এটি টাকার সমস্যা নয় তবে এই খেলোয়াড়দের বেশিরভাগই টেস্ট ক্রিকেট খেলার দিকে ঝুঁকছেন না। ESPNCricinfo-কে রাসেল বলেন, 'আমি মনে করি না এটা টাকা। বিশ্বজুড়ে টি-টোয়েন্টি ও লিগের পরিমাণ দেখে আমার মনে হয় অনেক খেলোয়াড়ই টেস্ট খেলতে আগ্রহী নয়।' বর্তমানে লন্ডন স্পিরিটের হয়ে হান্ড্রেডে খেলা রাসেল মেজর লিগ ক্রিকেট খেলেছেন এবং হান্ড্রেডে খেলার পর ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলতে সরাসরি ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে চলে যাবেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের টি-টোয়েন্টি তারকা নিকোলাস পুরান, কাইরন পোলার্ড, রোভম্যান পাওয়েল ও আন্দ্রে রাসেল খুব কমই টেস্ট খেলেছেন। Pollard's 5 Sixes in Row: দেখুন, পরপর পাঁচটি ছক্কা হাঁকিয়ে রাশিদ খানের ওপর কায়রন পোলার্ডের নৃশংস আক্রমণ
এর সেরা উদাহরণ হলেন শাই হোপ, যিনি এক পর্যায়ে টেস্ট ক্রিকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। একটি খারাপ সিরিজে তিনি সরে দাঁড়ান এবং তিনি এখন টেস্ট সেটআপের ধারেকাছেও নেই উল্টে তিনি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তার অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করেছেন, এমনকি এই বছরের শুরুতে আইপিএল অভিষেকও করেছেন। বিশ্বজুড়ে নানা ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের সংখ্যা এই খেলোয়াড়দের শুধু বড় মঞ্চে খেলার সুযোগই এনে দেয়নি, তাদের যথেষ্ট ব্যস্ত রেখেছে এবং তাদের সেই পথে থাকার জন্য যথেষ্ট অর্থ দিয়েছে।
রাসেল বলেন, 'ওয়েস্ট ইন্ডিজের অন্য ব্যাটসম্যানদের খেলা দেখে আমি সবসময়ই রোমাঞ্চিত, বিশেষ করে যখন তারা একের পর এক বাউন্ডারি মারছে। যতক্ষণ আপনি আপনার দেশের বাইরের চুক্তি থেকে ভাল করতে পারেন ততক্ষণ আমি মনে করি তারা সেই সুযোগটি গ্রহণ করবে, তবে সবাই বড় মঞ্চে খেলতে চায়। তাই টেস্ট ক্রিকেটে বড় মঞ্চ এলে আমি জানি তরুণরা খেলতে খুশি হবে। আমি মনে করি না যে এটি অর্থ বা এ জাতীয় কিছুর বিষয়।'