ভারতীয় ক্রিকেটার মহম্মদ শামির প্রাক্তন স্ত্রী সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। এই ফাস্ট বোলারের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলাটি গত ৪ বছর ধরে ভুলবশত স্থগিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ। তিনি জানান, শামি কোনও ন্যায্য পরিস্থিতি ছাড়াই ভারতীয় ক্রিকেট থাকাকালীন পতিতাদের সাথে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক অব্যাহত রেখেছেন, এমনকি বাদ পড়েনি সিনিয়র জাতীয় ক্রিকেট দলের সঙ্গে সফরকালও। ২০১৮ সালে মহম্মদ শামির বিরুদ্ধে যাদবপুরে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করার সময় হাসিন জাহান প্রথম তাঁর বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য নির্যাতন ও পরকীয়ার অভিযোগ আনেন। নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে চলেছেন শামি। বড় ভাই হাসিব আহমেদ এবং শামিকে ২০১৮ সালে কলকাতা পুলিশের মহিলা অভিযোগ সেল জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল এবং আলিপুর আদালত এমনকি ভারতীয় ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল।
Used to ask for dowry, continues to have extra-marital affairs: Mohammad Shami’s wife moves SC #news #dailyhunt https://t.co/DE3UTp7Nrw
— Dailyhunt (@DailyhuntApp) May 3, 2023
তবে পরে গ্রেফতারি পরোয়ানা স্থগিত করা হয়। হাসিন জাহানের কেস ছাড়াও শামিকে ম্যাচ ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার অভিযোগ করার পরে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) দুর্নীতি দমন ইউনিট শামিকে ক্লিন চিট দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে হাসিন জাহানের অভিযোগ, শামি প্রায়ই যৌতুক চাইতেন। আইপিএলে মডেল ও চিয়ারলিডার হিসেবে কাজ করা হাসিন জাহানের দাবি, জাতীয় দলের সিনিয়র ক্রিকেটারদের সঙ্গে সফরেও মহম্মদ শামির বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে। এর আগে ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে কলকাতার একটি আদালত শামিকে তাঁর স্ত্রী হাসিন জাহানকে মাসিক ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেয়।
আদালতের নির্দেশের পর শামির যে পরিমাণ অ্যালিমানি দেওয়ার কথা, তাতে খুশি হননি জাহান। কারণ, ভারতীয় পেসারদের কাছ থেকে প্রতিমাসে ১০ লক্ষ টাকা করে দাবি করেছিলেন তিনি। ২০১৮ সালে জাহান মাসিক ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে একটি আইনি মামলা দায়ের করেন, যার মধ্যে ব্যক্তিগত খরচের জন্য ৭ লক্ষ টাকা এবং মেয়ের ভরণপোষণের জন্য ৩ লক্ষ টাকা রয়েছে।