শ্রেয়স আইয়ার এবং ইশান কিষানকে (Ishan Kishan) বিসিসিআইয়ের বার্ষিক কেন্দ্রীয় চুক্তির অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি কারণ দু'জনেই বারবার রঞ্জি ট্রফিতে অংশ নেওয়ার জন্য বোর্ডের আদেশ উপেক্ষা করছিলেন। তবে সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুসারে, বিসিসিআই সচিব জয় শাহ কেন্দ্রীয় চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড়দের ঘরোয়া ক্রিকেটকে আইপিএলের থেকে বেশী গুরুত্ব দেওয়ার জন্য একটি চিঠি পাঠানোর আগে ইশানের সাথে যোগাযোগ করেন। যখন ধ্রুব জুরেল রাঁচিতে বীরত্বপূর্ণ পারফরম্যান্স করে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ জিততে ভারতকে সহায়তা করেন তার আগে কথাবার্তা হয় বলে জানা গিয়েছে। ইশান শেষবার ভারতের হয়ে খেলেন ২০২৩ সালের নভেম্বরে, অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টি সিরিজে। গত ডিসেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের মাঝামাঝি সময়ে মানসিক অবসাদের কারণ দেখিয়ে নাম প্রত্যাহার করে নেন তিনি। Hardik Pandya to Play Domestic: ঘরোয়া ক্রিকেট খেললেই থাকবে কেন্দ্রীয় চুক্তি! হার্দিককে সতর্কবার্তা বিসিসিআইয়ের
এরপরে তিনি ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেননি এবং ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজে তার ফিরে আসা নিয়ে আলোচনা শুরু হলে, ম্যানেজমেন্ট কেএল রাহুলকে তাদের উইকেটরক্ষক-ব্যাটার হিসাবে মাঠে নামান। যখন ইশানকে সিরিজের জন্য নির্বাচিত করা হয়নি, তখন ভারতের প্রধান কোচ রাহুল দ্রাবিড় ব্যাখ্যা দেন যে ইশানকে প্রথমে নিজেকে উপলব্ধ করতে হবে এবং তার যোগ্যতা প্রমাণের জন্য তাকে খেলায় সময় দিতে হবে। প্রাক্তন ভারতীয় ব্যাটার আরও জানান যে, ম্যানেজমেন্ট ইশানের সাথে ক্রমাগত যোগাযোগ রাখে।
এখন ESPNCricinfo-এর রিপোর্টে বলা হয়েছে, দ্রাবিড়ের ব্যাখ্যা সত্ত্বেও ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট ইশানকে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের জন্য টেস্ট দলে জায়গা দেওয়া হয় কিন্তু ২৫ বছর বয়সী এই খেলোয়াড় তা প্রত্যাখ্যান করে বলেন, তিনি এখনও প্রস্তুত নন। যদিও রিপোর্টে সময় নির্দিষ্ট করা হয়নি, তবে সম্ভবত কেএল রাহুল দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ থেকে ছিটকে যাওয়ার পরে ভারতীয় দল এই অনুরোধ করে এবং জানায় যে ব্যাট হাতে কেএস ভরতের হতাশাজনক ফর্ম নিয়ে ম্যানেজমেন্ট উদ্বিগ্ন। এরপর রাজকোটে জুরেলের অভিষেক হয় এবং রাঁচিতে ম্যাচ জেতানো ৯০ রানের ইনিংস খেলার আগে তৃতীয় টেস্টে ব্যাট ও গ্লাভস হাতে নিজের সামর্থ্যের ঝলক দেখিয়েছিলেন ২৩ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান।