ভডনগর স্টেশনে এই সেই নরেন্দ্র মোদির চায়ের দোকান। (Photo Credits: Twitter)

PM Narendra Modi used to sell tea to be turned into tourist spot। গুজরাটের এক রেলস্টেশনের চায়ের দোকান দেখার হিড়িক। এ কী আর যেমন তেমন চায়ের দোকান! এই রেলস্টেশনের চা বিক্রেতাই তার মনের জোরে ভর করে দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। গুজরাটের ভডনগর রেলওয়ে স্টেশনে (Vadnagar railway station) নরেন্দ্র মোদি-র চায়ের দোকান এখন পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। মোদির চায়ের দোকানটা কেমন! ছোট্ট এক ভাঙাচোরা টিনের 'স্মারক'। তাতে লেখা— 'নরেন্দ্র মোদীর চায়ের দোকান। '

অল্প বয়েসে ভডনগর স্টেশনের এই স্টলে বসেই চা বিক্রি করতেন মোদি। গুজরাট সরকার এখন এই স্টেশনের চায়ের দোকানকে পর্যটন স্থান বা ট্য়ুরিস্ট স্পট বানানোর পরিকল্পনা নিয়েছে। গুজরাটের পর্যটন মন্ত্রী প্রহ্লাদ প্যাটেল ইতিমধ্যেই সমীক্ষা করে নির্দেশ দিয়ছেন, এই চায়ের দোকানটিকে পুরো কাঁচ দিয়ে ঘিরে ফেলার। যাতে মোদির চায়ের দোকানোর ভিতর বা বাইরের কোনও অংশ আগের অবস্থায় বিকৃত না হয়। আরও পড়ুন-অমিতাভ বচ্চন-এর ইউ টার্ন, কংগ্রেস জমানায় যার বিরোধিতা করেছিলেন বিজেপি-র সময়ে সেটারই বিজ্ঞাপনে বিগ বি

প্রধানমন্ত্রী-র চায়ের দোকানের সৌজন্য এই স্টেশন এখন ভিভিআইপি-র তকমা পেয়ে গিয়েছে। ৮ কোটি টাকা খরচ করে গোটা স্টেশনটি নতুন করে সাজায়। কিন্তু 'মোদি'-র চায়ের দোকানটি ছোঁয়াও হয়নি। গোটা স্টেশন এখন লাল পাথরে সেজেছে। ভাঙাচোরা চায়ের দোকানের পাশে পুরনো টিকিট কাউন্টার।

চলতি বছর লোকসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেস দাবি করেছিল, মোদি কোনওদিন চা বিক্রি করেননি। জনগণের সহানুভূতি কাড়তেই মোদি চাওয়ালা হওয়ার গল্প শুনিয়েছেন।তথ্য জানার অধিকারে জানতে চাওয়া হয়েছিল, এই স্টেশনে নরেন্দ্র মোদী চা বেচেছেন, এমন কোনও প্রমাণ কি আছে? রেল মন্ত্রক উত্তর দিয়েছিল— না। মোদি-র বিশাল জয়ের পর অবশ্য সেসব ধামাচাপা পড়ে গিয়েছে। মোদির চায়ের দোকান এখন ট্যুরিস্ট স্পট। চাইলে একটু খরচ করে স্বচক্ষে রেলস্টেশনে প্রধানমন্ত্রীর চায়ের দোকান দেখে আসতে পারেন।