রসুলপুর, ১৯ এপ্রিল: লকডাউনকে (Lockdown) হার মানালো বিয়ে পাগল যুবক। লকডাউনকে বিয়ের মধ্যে বাধা হতে দেবেন না বলে সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়লেন। ১৫ এপ্রিল বিয়ে ছিল উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) সোনু কুমার চৌহানের। কিন্তু এ দিকে যে দেশজুড়ে লকডাউন। এই অবস্থায় কী ভাবেই বা বাড়ি যাবে সে?এক সপ্তাহ ধরে দিনরাত লাগাতার সাইকেল চালিয়ে ২৪ বছরের সোনু এবং তাঁর তিন বন্ধু শেষমেশ ৮৫০ কিমি সাইকেল চালিয়ে পৌঁছলেন বলরামপুরের একটি কোয়ারানটিন সেন্টারে। এদিকে তাঁর বাড়ি পৌঁছতে হলে যেতে হবে আরও ১৫০ কিলোমিটার। উত্তরপ্রদেশের মহারাজগঞ্জ জেলার পিপরা রসুলপুরে (Rasulpur) বাড়ি সোনুর।
টাইলসের কারখানায় কাজ করেন সোনু কুমার চৌহান। পরিবারের লোকজনই তাঁর বিয়ের বন্দোবস্ত করেন। স্থির হয় ১৫ এপ্রিল উত্তরপ্রদেশের এক তরুণীর সঙ্গে চার হাত এক হবে সোনুর। বিয়ে বলে কথা! প্রস্তুতি হলে হয়? তাই সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি চলছিলই। তবে আচমকাই লকডাউন। কীভাবে যে সাত পাকে বাঁধা পড়বেন সোনু, সেই ভাবনায় প্রায় মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে প্রত্যেকের। তবে এক সময়ে সকলেই স্থির করেছিলেন বিয়ে স্থগিত রাখবেন। করোনা পরিস্থিতি কেটে গেলেই সারবেন তিনি। কিন্তু বছর চব্বিশের সোনু নাছোড়বান্দা। আরও পড়ুন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে নিয়োজিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে গুগলের শুভেচ্ছা
তিনি স্থির করলেন ৮৫০ কিলোমিটার রাস্তা সাইকেলে চড়ে গিয়ে বিয়ে করবেন। যেমন ভাবনা, তেমনই কাজ। পাঞ্জাবের লুধিয়ানা থেকে সাইকেলে চড়ে বেরিয়ে পড়লেন ওই যুবক। সঙ্গী তিন বন্ধু। কখনও ক্লান্ত হয়েছেন আবার কখনও বা খিদেতে চিনচিন করে উঠেছে পেট। কিন্তু সোনু তাঁর সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেননি। এভাবেই প্রায় সপ্তাহখানেক ধরে সাইকেল চালান সোনু এবং তাঁর বন্ধুবান্ধব।
মহারাজগঞ্জের পিপরা রসুলপুরের কাছে পুলিশের সোনু-সহ চারজনকে দেখে সন্দেহ করে। তাঁদের পথ আটকান রাস্তায় কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা। কী কারণে লকডাউনেও সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা, সেই প্রশ্ন করেন। তিনি জানান, বিয়ের জন্য প্রায় ৮৫০ কিলোমিটার রাস্তা সাইকেলে চড়ে যাওয়ার পরিকল্পনায় বাড়ি থেকে বেরিয়েছেন তাঁরা। আপাতত ওই যুবকদের বলরামপুরের এক কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। আগামী ১৪ দিন পর্যবেক্ষণে রাখা হবে তাঁদের। সুস্থ থাকলে তাঁদের পাঠিয়ে দেওয়া হবে বাড়িতে।