মুম্বই, ৬ জুলাই: সোমবার হাসপাতালে প্রয়াত হলেন উপজাতি অধিকার রক্ষার অন্যতম সমাজকর্মী ফাদার স্ট্যান স্বামী৷ UAPA আইনে জেলবন্দি ছিলেন তিনি৷ বন্দি থাকা অবস্থাতেই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন অশীতিপর এই বৃদ্ধ ৷ অসুস্থতার গ্রাউন্ডে জামিনের আবেদনও করেছিলেন৷ তবে মুক্তি পাওয়ার আগেই চলে গেলেন অমৃতলোকে৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে৷ যেখানে দেখা যাচ্ছে হাসপাতালের বেডে রয়েছেন এক বৃদ্ধ, যাঁর হাতে ও পায়ে শৃঙ্খল৷ ছবিটি ফাদার স্ট্যান স্বামীর, এই ক্যাপশনেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে৷ ভাইরালও হয়ে যায়৷ তবে বুমলাইভের তথ্যানুসারে ছবিটি ভুয়ো বলে প্রমাণিত হয়েছে৷ জানা গেছে ছবির বৃদ্ধ ফাদার স্ট্যান স্বামী নন, উত্তরপ্রদেশের এক খুনের আসামী৷ যার বয়স ৯২ বছর৷ আরও পড়ুন-Coronavirus Cases In India: ১১১ দিনে সর্বনিম্ন দৈনিক সংক্রমণ, দেশে নতুন করোনা রোগী ৩৪,৭০৩ জন
ভাইরাল ছবিতে নেটিজেনরা ক্ষোভ উগরে দিয়ে লেখে ৮৪ বছরের সমাজকর্মী জীবনের শেষমুহূর্তেও শৃঙ্খলবন্দি হয়ে কাটালেন৷ ২০১৮-র ভীমা কোরেগাঁও মামলায় জড়িত সন্দেহে ২০২০-র অক্টোবর থেকে জেলে হেফাজতে রয়েছেন৷ বম্বে হাইকোর্টকে সমাজকর্মীর প্রয়াণের খবর দিয়েছেন তাঁর আইনজীবী৷ করোনায় আক্রান্ত হয়ে মুম্বইয়ের হোলি ফ্যামিলি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন ফাদার স্ট্যান স্বামী৷ শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় গত রবিবার থেকে তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়৷
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই ফাদর স্ট্যান স্বামীর মৃত্যু হয়েছে৷ মুম্বইয়ের হোলি ফ্যামিলি হাসপাতালের ডিরেক্টর ডাক্তর আইয়ান ডিসুজা ও ফাদারের আইনজীবী মিহির দেশাই বম্বে হাইকোর্টকে এই তথ্য দেন৷ মৃত ফাদার আজীবন শুধু দলিত, আদিবাসী ও প্রান্তিক মানুষের অধিকার রক্ষায় কাজ করে গেছেন৷ যাতে পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা সম্মানের সঙ্গে বাঁচতে পারে৷