বর্ধমানের (Bardhaman) নেড়োদিঘির যুবক শেখ রফিকুল। মূত্রথলির জটিল সমস্যার জেরে প্রস্রাবের সঙ্গে খাবার বেরিয়ে যেত তাঁর। এই নিয়ে দুর্বিষহ হয়ে উঠছিল জীবন। পরিচিতরা জানতে পেরে ঠাট্টা-তামাশাও করত। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের (Bardhaman Medical College Hospital) চিকিৎসকের জটিল অস্ত্রোপচারে (Operation) এই সমস্যা থেকে মুক্তি পান তিনি।
বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকদের মতে, প্রস্রাবের সঙ্গে ভাতের টুকরো বেরিয়ে যেত তাঁর। বড় মাপের কেঁচো (Earthworm) রফিকুলের ক্ষুদ্রান্ত্র ও মূত্রথলির মধ্যে ফুটো করে দিয়েছিল। ওই যুবকের মা নুরজাহান বেগম জানান, খুব ছোট থেকেই তাঁর ছেলে এই সমস্যায় ভুগছেন। এই ঘটনা বিরল না হলেও বিশ্বে মোট ১২ টি এমন ঘটনা ঘটে।আরও পড়ুন, গায়ে স্পর্শ করে ডাক, ভক্তের ওপর বেজায় চটলেন রানু মণ্ডল
গত ১৯ অক্টোবর বর্ধমান মেডিক্যালের সার্জিক্যাল বিভাগে ভরতি করা হয় রফিকুলকে। সিটি ইউরোগ্রাফি করেন চিকিৎসকরা। নরেন্দ্রনাথবাবু জানান, তাতে দেখা গিয়েছে, ক্ষুদ্রান্ত্রের সঙ্গে উপরের অংশ দিয়ে মূত্রথলি পর্যন্ত ফুটো রয়েছে। এটিকে ‘ইউরেট্রো ডিউড্রেনাল ফিসচুলা’ বলে। এর ফলে মূত্রথলি দিয়ে খাবারের অংশ বেরিয়ে যাচ্ছিল। এরপর চিকিৎসকরা আট সদস্যের মেডিক্যাল টিম গড়ে। অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্তও নেন তাঁরা। অবশেষে সফলভাবে তাঁর অস্ত্রোপচার হয়। গত ১৫ বছরের কষ্ট থেকে মুক্তি পান তিনি।
(সংবাদ প্রতিদিনের খবর অনুযায়ী)