মাঝ আকাশে গেল গেল রব,  বিমানকে ঘিরে কমলা রঙের ওটা কী?
এই সেই আলো(Photo Credit: Twitter)

আটলান্টা, ১২ জুলাই:  মাঝ আকাশে প্লেনে যদি কোনও বিপত্তি ঘটে তখন তো বুক কেঁপে উঠবে। মনে হবে এই বুঝি পৈতৃক প্রাণটি পঞ্চভূতে বিলীন হল বলে। এমনটা সত্যি সত্যিই ঘটল, বিমান তখন কয়েক হাজার মিটার উচ্চতায়। আচমকা বিকট শব্দ, কেঁপে গেল প্লেন। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ল মুহূর্তে। আর এরমধ্যে বিমানকে মাঝে রেখে ঘুরতে লাগল একটি উজ্জ্বল কমলা রঙের ধাতব গোলক!  ইতিমধ্যেই ঘোষণা হচ্ছে, বিমানটির একটি ইঞ্জিন বিকল হয়ে গিয়েছে। ওই ধাতব অগ্নিপিণ্ডের মতো বস্তুটি ইঞ্জিনেরই টুকরো। স্বাভাবিক ভাবেই তোলপাড় পড়ে যায় যাত্রীদের মধ্যে। আরও পড়ুন-হৃদয়ের বিশেষ জায়গায় থাকে কিডনি, কী বলতে কী বললেন ডোনাল্ড ট্রাম্প?

ধীরে ধীরে বিমানের মধ্যেটা গরম হয়ে ওঠে। ততক্ষণে ভয়ে, আতঙ্কে অস্থির হয়ে যাত্রীরা ধরেই নিয়েছেন এই বোধহয় শেষ মুহূর্ত। পরে অবশ্য পাইলটের দক্ষতায় নিরাপদে জরুরি অবতরণ করে বিমানটি।বুধবার আটলান্টা থেকে বাল্টিমোর যাচ্ছিল (Atlanta to Baltimore ) একটি ডেল্টা ফ্লাইট (Delta Air Lines)। যাওয়ার পথেই মাঝ আকাশে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে। ১৪৮ জন যাত্রী সমেত মাঝ আকাশে আচমকাই বিগড়ে যায় বিমানটির একটি ইঞ্জিন। ফলে নর্থ ক্যারোলিনার রেলেইগ বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণের সিদ্ধান্ত নেন পাইলট। নিরাপদেই নামতে পারেন সকলে। পরে জানা যায়, ১৪২৫ নম্বর বিমানটির একটি ইঞ্জিন আচমকাই বিগড়ে যেতেই বিপত্তি। পাইটল নিয়তন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে বিমানের  ইঞ্জিনটি পুড়ে যায়, টুকরোগুলো ছড়িয়ে পড়ে আকাশেই। খুব বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত, যদি না অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পাইলট জরুরি অবতরণ করাতে পারতেন।

যাত্রীরা জানান, আচমকা খুব জোরে একটি শব্দ শোনা যাক ককপিট থেকে। ধোঁয়াও বেরোতে শুরু করে। “তখনই আমরা সকলে খুব ভয় পেয়ে যাই। ভেবেছিলাম, বড় কোনও বিপদ হয়েছে।”– বলেন এক যাত্রী অ্যাভেরি পর্চ। আর এক যাত্রী টাইলার ক্রিউগার বলেন, “আচমকাই বিমানটির গতি কমে গেল। ভেতরটা গরম হয়ে যাচ্ছিল। আমি ফোনটা বার করলাম। জানতাম, কাজ করছে না, তবুও মাকে- বাবাকে একটা টেক্সট করলাম। লিখলাম, ‘আই লাভ ইউ’। তখন ভেবেছিলাম, আর কখনও বলার সুযোগ পাব না।”