গাড়ির পিছনে সুন্দরবনের বাঘ (Photo Credits: Video grab)

আপনি কি অভয়ারণ্যে বেড়াতে গিয়ে বন্যপ্রাণীর মুখোমুখি হতে চান? তাহলে বেঙ্গালুরুর বানারঘাট্টা ন্যাশনাল পার্কের এই ভিডিও আপনার আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হতে পারে, আবার একটু হলেও এই ছবি আপনাকে ভীতও করতে পারে। আচমকাই দেখা গেল, অভয়ারণ্যের ভিতরে সাফারিতে বেরনো পর্যটকদের গাড়িটিতে যান্ত্রিক সমস্যা দেখা দিয়েছে। সেটি আর স্টার্ট নিতে পারছে না। এদিকে দুপাশের ঘন বন ততক্ষণে গাড়িতে থাকা যাত্রীদের মনে ভয়ের বাতাবরণ তৈরি করেছে। আচমকাই গাড়ির ডান দিকের জঙ্গল থেকে বেরিয়ে এল রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার (Bengal Tiger)। সোজা গিয়ে দাঁত বসিয়ে দিল গাড়ির পিছনের অংশ। কামড়ে প্রায় ভেঙেই ফেলল বেশ খানিকটা অংশ। ততক্ষণে যাত্রীদের উত্তেজনার পারদ চড়চড়িয়ে চড়ছে। আরও পড়ুন-UP Minister on CM Mamata Banerjee: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘মুসলিম সন্ত্রাসবাদী’ বললেন যোগীর রাজ্যের এই মন্ত্রী

এর মধ্যে বাঘবাবাজি গাড়িটিকে পিছনের দিকে টানতে শুরু করেছে। ঠিক এই সময়েই সাফারিতে বেরনো আর একটা গাড়ির কাছাকাছিচলে আসায় এই দুরল্ভ দৃশ্যটি ক্যামেরাবন্দি হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী গাড়ির চালক ও সওয়ারিরা ঘটনাটি লেন্সবন্দি করার পাশাপাশি ভয় যে পেয়েছেন তা তাঁদের বার্তালাপে বেশ বোঝা যাচ্ছে। আর বাঘের খপ্পরে পড়া গাড়িটির যাত্রীদের অবস্থা বেশ সঙ্গীন। বাঘের রাজ্যে ঢুকে সাফারি চলবে তাই গাড়ির জানলার কাচের বাইরে লোহার জাল লাগানো রয়েছে। যাতে কোনওভাবেই বাঘের থাবা ভেদ করে যাত্রীরা আক্রান্ত না হয়। এদিকে দক্ষিণ রায় যখন মন দিয়ে গাড়ির পিছনের দিকটা ভেঙে চলেছে, তখন ভয় করলেও আতঙ্ক কিন্তু বাড়াবাড়ির পর্যায়ে যায়নি। কারণ বাঘের আচরণে আগ্রাসী মনোভাবের বদলে কৌতূহল অনেক বেশি ছিল। এদিকে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের এহেন কর্মকাণ্ড দেখতে ততক্ষণে তার এক শাগরেদও ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। বেগতিক বুঝে প্রায় মানে মানে ঘটনাস্থল ছাড়লেন ছবি সংগ্রহকারী গাড়ির যাত্রীরা।

খবর পেয়ে বানারঘাট্টা ন্যাশনাল পার্কের উদ্ধারকারী দল তড়িঘড়ি যান্ত্রিক বিভ্রাটে আটকে পড়া গাড়ির যাত্রীদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনে। এদিকে এমন রোমহর্ষক ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড হতেই হু হু করে নেটিজেনদের কেউ কেউ প্রায় দমবন্ধ করে ভিডিওটি দেখার পর কমেন্টে জানিয়েছেন, বাঘটি গাড়ি সম্পর্কে কৌতূহলি ছিল তাই খুটিয়ে খুটিয়ে তা দেখার পাশাপাশি একবার চেখে দেওয়ার চেষ্টাকরেছে। আগ্রাসী মনোভাব দক্ষিণ রায়ের ছিল না। থাকলে গাড়ির যাত্রীরা অক্ষত অবস্থায় ফিরতে পারতেন বলে মনে হয় না।