আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে দলের নিয়ম-শৃঙ্খলা যাঁরা মেনে চলবে না, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া সিদ্ধান্ত নেবে শীর্ষ নেতৃত্ব। এই ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। আর সেই কারণেই এবার দুই পুরোনো নেতাকে সাসপেন্ড করল তৃণমূল কংগ্রেস। একজন হলেন প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন (Santanu Sen) এবং অপরজন হলেন ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম (Arabul Islam)। আরাবুল আবার এই নিয়ে দ্বিতীয়বার সাসপেন্ড হয়েছেন। শুক্রবার আচমকাই দলের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

সাসপেন্ড হওয়ায় ক্ষুব্ধ শান্তনু

সূত্রের খবর, শান্তনু সেন আরজি কর কাণ্ডে দলবিরোধী কার্যকলাপ করেছিলেন। প্রতিবাদীদের সমর্থন করেছিলেন। সেই কারণেই তাঁর ওপর অসন্তোষ ছিল শীর্ষ নেতৃত্ব। আগেই আরজি করের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এছাড়া দলের মুখপাত্র হিসেবেও বাদ পড়েন তিনি। তারপর থেকেই সাসপেন্ড হওয়ার জল্পনা ঘুরছিল। এদিন তা নিশ্চিত হল। যদিও দলের এই সিদ্ধান্তে বেজায় ক্ষুব্ধ তৃণমূলের এই চিকিৎসক নেতা।

নির্বিকার আরাবুল

এই নিয়ে দ্বিতীয়বার সাসপেন্ড হলেন ভাঙড়ের দাপুটে নেতা আরাবুল ইসলাম। এর আগেও ৬ বছরের জন্য তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। পরে তা প্রত্যাহার করিয়ে তাঁকে ফিরিয়ে আনা হলেও ফের দলবিরোধী কার্যকলাপের জন্য সাসপেন্ড করা হল। জানা যাচ্ছে, ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক শওকত মোল্লার সঙ্গে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব রয়েছে তাঁর। আর এই নিয়ে আবারও ভাঙড়ে উত্তেজনা ছড়ায়। এমনকী এই নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও আরাবুলকে সতর্ক করেছিল। কিন্তু তাতেও এড়ানো যায়নি দ্বন্দ্ব। সেই কারণে আবার তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। যদিও এই নিয়ে আপাতত নীরব রয়েছেন তিনি।