প্রতি বছর মার্চের ২৩ তারিখ পালন করা হয় বিশ্ব আবহাওয়া দিবস। এই বিশেষ দিনটির উদ্দেশ্য হল সমাজের রক্ষার জন্য আবহাওয়া বিজ্ঞানের কাজ সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা। আবহাওয়া বিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে যারা খুব ভালো কাজ করে তাদের সম্মানিত করা হয় এই দিনে। আবহাওয়া, জলবায়ু, জল সংক্রান্ত বিভিন্ন আলোচনা সভা ও অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয় এই দিন। এই সব কর্মসূচির মাধ্যমে প্রকৃতি কীভাবে রক্ষা করা সম্ভব সেই বিষয়ে মানুষকে অবগত করানো হয়।
১৯৫০ সালের ২৩ মার্চ বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার কনভেনশন দ্বারা বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এর প্রায় এক বছর পর একটি বিশেষ সংস্থায় পরিণত হয় WMO জাতিসংঘ (UN)। ১৯৫১ সালে সংস্থাটি আন্তর্জাতিক আবহাওয়া সংস্থাকে পরিবর্তন করে বিভিন্ন দেশের মধ্যে আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য আদান-প্রদানের জন্য প্রথম বিশ্বব্যাপী সংস্থা হয়ে ওঠে। ডব্লিউএমও পূর্বে কী করেছে এবং ভবিষ্যতে কীভাবে মানুষকে সাহায্য করবে তা তুলে ধরে বিশ্ব আবহাওয়া দিবস।
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বিশ্ব আবহাওয়া দিবস। আমাদের প্রতি মুহূর্তের আবহাওয়া, জল এবং জলবায়ু সম্পর্কিত সকল সমস্যা এবং জীবনে তার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রভাব সম্পর্কে অবহিত করে বিশ্ব আবহাওয়া দিবস। প্রাকৃতিক ঘটনার উপর মানুষের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। এই পৃথিবীতে বসবাসকারী কেউই কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতিরোধ করতে পারেনা। তবে এই বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আবহাওয়াবিদরা। স্যাটেলাইটের মাধ্যমে তারা পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল এবং ভৌত পরিবেশ অধ্যয়ন করে সম্ভাব্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ সম্পর্কে আগের থেকেই সতর্ক করে দেয় পৃথিবীবাসীদের।