নয়াদিল্লি: শরীরকে শক্তিশালী, বাহ্যিক এবং অভ্যন্তরীণভাবে ফিট রাখার অন্যতম স্বাস্থ্যকর উপায় যোগব্যায়াম। প্রাচীনকাল থেকেই ভারতে যোগ অনুশীলন করা হয়। যোগব্যায়াম (Yoga) একজন ব্যক্তিকে ভালো অভ্যাস গ্রহণ করতে সাহায্য করে। এছাড়াও, নিয়মিত ব্যায়াম অস্বাস্থ্যকর খাবারের আকাঙ্ক্ষা কমাতে সাহায্য করে, যার ফলে একটি স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় থাকে। তাই জিম ওয়ার্কআউটের মতো, যোগাসনের পরে ডায়েটের দিকেও বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিত।
বিশেষজ্ঞরা প্রতিদিন যোগাসন করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এতে মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়। তবে অনেকে মনে করেন যে জিমে ওয়ার্কআউট করলে ডায়েটের বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিত, কিন্তু যোগব্যায়ামের ক্ষেত্রে তাঁরা খাবারের প্রতি অমনোযোগী হয়ে পড়েন। জেনে নেওয়া যাক যোগব্যায়ামের পর কী ধরনের ডায়েট মেনে চলতে হবে।
যোগব্যায়ামের আগে হালকা খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় যাতে শরীর প্রয়োজনীয় শক্তি পায় কিন্তু ফোলা অনুভব না করে। যোগব্যায়ামের পর কি খাবেন?
কার্বোহাইড্রেট
বিশেষজ্ঞদের মতে, কার্বোহাইড্রেট খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ এগুলি কেবল শক্তিই দেয় না, পেশী তৈরিতেও সাহায্য করে।
ডিম
ডিম প্রোটিনের একটি পাওয়ার হাউস হিসাবে পরিচিত, যা পেশী টিস্যু মেরামত করতে সাহায্য করে। একটি সমীক্ষা অনুসারে, ওয়ার্কআউটের পরে আপনার পেশী শিথিল করার জন্য মাত্র ১০-২০ গ্রাম প্রোটিন প্রয়োজন। পুষ্টিবিদরা যোগ ব্যায়াম শেষ করার এক ঘন্টার মধ্যে সিদ্ধ ডিম খাওয়ার পরামর্শ দেন।
বাদাম দই
বাদাম, কাজু বা আখরোট এক বাটি দই দিয়ে খান। এগুলিতে স্বাস্থ্যকর চর্বি রয়েছে, যা পেশীর টিস্যুগুলি মেরামত করতে এবং শরীরে শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
পোহা
পুষ্টিবিদদের মতে, পোহাতে ক্যালোরি খুব কম এবং প্রচুর কার্বোহাইড্রেট থাকে। পোহায় রয়েছে ২৩ শতাংশ চর্বি, ২.৫ মিলিগ্রাম ফাইবার, ২.৬ মিলিগ্রাম আয়রন এবং ৫ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম। তাই এই খাবারটি ওজন কমানোর জন্য খুবই ভালো বলে মনে করা হয়।
ওটস
ওটসে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন এবং ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। শরীরের চর্বি পোড়ানোর ক্ষমতা বাড়াতে চিয়া বীজ এবং মৌসুমি ফল মিশিয়ে ওটস খান।