Credit: Twitter or X

ওড়িশায় অবস্থিত পুরীর জগন্নাথ মন্দির শুধু দেশে নয়, গোটা বিশ্বে বিখ্যাত। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, দ্বাপর যুগের পর ভগবান জগন্নাথ রূপে পুরীতে বাস করতে শুরু করেন শ্রী কৃষ্ণ। চার ধামের মধ্যে একটি হল পুরীর জগন্নাথ মন্দির। এই স্থানে বাস করেন ভগবান জগন্নাথ রূপে শ্রী কৃষ্ণ, তাঁর বড় ভাই বলভদ্র এবং বোন সুভদ্রা। ২০২৪ সালের ৭ জুলাই পালন করা হয় জগন্নাথ রথযাত্রার উৎসব। রথযাত্রা উপলক্ষ্যে ভগবান জগন্নাথ, তাঁর বড় ভাই বলভদ্র এবং বোন সুভদ্রা একসঙ্গে মাসির বাড়ি গুন্ডিচা মন্দিরে যান, ১০ দিন মাসির বাড়িতে থাকার পর তাঁরা আবার ফিরে আসেন জগন্নাথ মন্দিরে।

বর্তমানে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্ন ভান্ডার নিয়ে মানুষের মধ্যে বেড়ে গিয়েছে কৌতূহল, কারণ ৪৬ বছর পর এই বছর খোলা হয়েছে জগন্নাথ মন্দিরের রত্ন ভান্ডার। এই রত্ন ভান্ডার খোলার আগে খুলে দেওয়া হয় মন্দিরের ৪টি ফটক। ১৪ জুলাই, রবিবার ধর্মীয় নিয়ম মেনে দুপুর ০১:২৮ মিনিটে খুলে দেওয়া হয় মন্দিরের রত্ন ভাণ্ডার। এর আগে ১৯৮৫ সালের ১৪ জুলাই খোলা হয়েছিল রত্ন ভান্ডার, ১৯৮৫ সালের পর ২০২৪ সালের ১৪ জুলাই খোলা হয় এই রত্ন ভান্ডার। এমন পরিস্থিতিতে বহু বছর পর রত্নভাণ্ডার খোলার কারণে রত্নভাণ্ডারে কী গুপ্তধন রয়েছে তা নিয়ে মানুষের মধ্যে বেড়েছে কৌতূহল।

৪৬ বছর পর রত্নভান্ডার খোলার উদ্দেশ্য হল গহনা, মূল্যবান জিনিসপত্রের সূচিপত্র বানানো এবং ভান্ডারের মেরামত করা। জানা গিয়েছে, রত্ন ভান্ডারে রয়েছে ভগবানকে নিবেদিত মূল্যবান সোনা ও হীরার গহনা। এছাড়াও জানা গিয়েছে, রত্নভান্ডারের দুটি কক্ষ আছে এবং রত্নভান্ডারের বাইরের কক্ষের ৩টি চাবি পাওয়া গিয়েছে, তবে ভিতরের কক্ষের চাবি পাওয়া যায় নি। বাইরের কক্ষে রয়েছে ভগবান জগন্নাথের সোনার মুকুট এবং তিনটি সোনার নেকলেস। অভ্যন্তরীণ কক্ষে রয়েছে আনুমানিক ১০০ তোলার ৭৪টি সোনার অলঙ্কার। এছাড়াও রয়েছে সোনা, রুপো, হীরা, প্রবাল এবং মুক্তা দিয়ে তৈরি গহনা।