উত্তর ভারতের বেশির ভাগ এলাকায় গরমের পারদ ছাড়িয়ে গিয়েছে ৪৫ ডিগ্রি। এমন পরিস্থিতিতে সুস্থ থাকার জন্য সূর্যালোক এড়িয়ে চলার পাশাপাশি পরিবর্তন প্রয়োজন খাদ্যাভ্যাসেও। এই গরমে সব থেকে বড় সমস্যা ডিহাইড্রেশন। এই আবহাওয়ায় নিজেকে হাইড্রেটেড রাখতে জলের বিকল্প হয় না, তা সত্ত্বেও জলের কিছু বিকল্প ব্যবস্থা রাখা উচিত, এই বিকল্পগুলির মধ্যে একটি হল ছাতু। ছাতুকে 'শক্তির ভান্ডার' বলে মনে করা হয়। প্রচণ্ড গরমে স্বস্তি দিতে পারে ছাতু। চলুন জেনে নেওয়া যাক ছাতুর গুণাবলী।
ভারতীয় উপমহাদেশের একটি স্থানীয় খাবার হল ছাতু। এটি একটি সস্তা এবং সহজলভ্য খাবার। ছাতুর মধ্যে রয়েছে সব ধরনের পুষ্টি ও ঔষধি উপাদান। ছাতুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, আয়রন, সোডিয়াম, ফাইবার এবং ম্যাগনেসিয়াম। জলের মধ্যে ছাতুর সঙ্গে লবণ ও কয়েক ফোঁটা লেবু মিশিয়ে পান করা যেতে পারে ছাতুর শরবত। ছাতু দিয়ে তৈরি করা যায় বিভিন্ন ধরনের সুস্বাদু ও পুষ্টিকর খাবার। গ্রামের দিকে ছাতু লবণ মেখে, আচার দিয়ে খাওয়া হয়। ছাতু শরীরকে হাইড্রেটেড রাখার পাশাপাশি এর মধ্যে উপস্থিত ঔষধিগুণ বিভিন্নভাবে শরীরের উপকার করে।
ছাতুর মধ্যে আয়রন ও ফাইবার থাকায় সকালে ছাতুর শরবত পান করলে হজম ক্ষমতা উন্নত হয়। ছাতু শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে। এটি দুর্বল শরীরে প্রয়োজনীয় শক্তি জোগায়। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য পুষ্টিকর ও উপকারী খাবার হল ছাতু। গ্রীষ্মকালে নিয়মিত ছাতু খেলে নিয়ন্ত্রণে থাকে রক্তচাপ। অতিরিক্ত ওজন কমানোর জন্য প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ছাতু খাওয়া উচিত। এছাড়া সারাদিন শরীরকে হাইড্রেটেড ও ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে সত্তুর শরবত।