Karwa Chauth 2025: উত্তর ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পরব হিসেবে পালন করা হয় করবা চৌথ (Karwa Chauth)। উত্তর ভারতের পাশাপাশি পশ্চিম ভারতেও এই উৎসব পালন করা হয় কার্তিক মাসে। তবে উত্তর এবং পশ্চিম ভারতের পাশাপাশি বর্তমানে কিছু কিছু বাঙালির মধ্যে করবা চৌথ পালনের রীতি, রেওয়াজ শুরু হয়েছে। হিন্দু ধর্মের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎসব হিসেবেই এই করবা চৌথ পালন করেন হিন্দু সধবা মহিলারা। স্বামীর মঙ্গল কামনায় উপোস করে, চাঁদ দর্শন করে, তবে মুখে জল দেন স্বামী নিয়ে সংসার করা গৃহিনীরা।
বিবাহিত মহিলারা স্বামীর সুস্বাস্থ্য এবং দীর্ঘায়ু কামনা করে এই উপোস করেন। একেবারে নির্জ্জলা উপোস করা হয় করবা চৌথের দিন। আকাশে চন্দ্রোদয়ের পর স্বামীর হাত থেকে জল খেয়ে তবেই মহিলারা উপোস ভাঙেন। স্বামী, স্ত্রীর মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্কে আরও মাধুর্য নিয়ে আসে এই করবা চৌথ।
করবা চৌথে চন্দ্র দর্শন কেন বাধ্যতামূলক?
চাঁদকে শান্তি এবং সুস্থিতির প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। করবা চৌথে উপবাসের মাধ্যমে সংযম পালন করা হয়। তারপর স্বামীর হাত থেকে জল খেয়ে তবেই নির্জ্জলা উপোস ভাঙেন মহিলারা।
জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযা, চাঁদ মানুষের জীবনে প্রেম, মাধুর্য এবং সৌন্দর্যকে আবাহন করে এবং ধরে রাখে। তাই স্বামীর দীর্ঘায়ু কামনা করে চন্দ্র পুজো করা হয় করবা চৌথের দিন।
করবা চৌথের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে কোন পৌরানিক কাহিনী
করবা চৌথের সবচেয়ে জনপ্রিয় পৌরাণিক কাহিনী হল বীরাবতীর কাহিনী। যেখানে বীরাবতী করবা চৌথের দিব আকাশে চন্দ্রদেবের আবির্ভাবের জন্য অপেক্ষা না করে সূর্যাস্তের পরে খাবার খেয়েছিলেন। যার ফলে বীরাবতীর স্বামীর মৃত্যু হয়।
ওই ঘটনার পর নিজের ভুল বুঝতে পেরে, বীরাবতী আবার উপোস করেন। নিষ্ঠাভরে সেই উপোস পালন করে, সন্ধেবেলায় চন্দ্র দর্শন করেন। চন্দ্র দর্শনের পর বীরাবতীর স্বামী আবার নতুন করে প্রাণ ফিরে পান বলে কথিত।
বীরাবতীর এই কাহিনী থেকে স্পষ্ট, করবা চৌথের দিন সধবা মহিলারা স্বামীর মঙ্গল কামনায় উপোস করে, চন্দ্র দর্শনের পর তা ভাঙলে, সেই ফল জীবনে সফলতা বয়ে নিয়ে আসে। ইচ্ছে পূরণ হয়।