প্রতিবছর কার্তিক মাসের শেষ দিনে মানে কার্তিক সংক্রান্তির দিনে ধুমধাম করে পালন করা হয় কার্তিকপুজো। দেবতা হিসাবে পূজিত হলেও কার্তিক দেব সেনাপতি ও যুদ্ধের দেবতার পাশাপাশি মহাদেব ও দেবী পার্বতীর সন্তান হলেন ভগবান কার্তিক। এই দেবতার পুজো প্রাচীন ভারতে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি পুজো।
এ বছর কার্তিক পুজো কবে?
সাধারণত কার্তিক মাসের শেষ দিন অর্থাৎ সংক্রান্তির দিন এই পুজো আড়ম্বর সহকারে পালিত হয়। বাংলা পঞ্জিকা মতে এ বছর কার্তিক পুজো ৩০ শে কার্তিক শুক্রবার ১৭ই নভেম্বর ২০২৩ পালিত হবে।
দেশের কোথায় কোথায় কার্তিক পুজো অনুষ্ঠিত হবে?
পশ্চিমবঙ্গের পুজো করার পাশাপাশি উড়িষ্যা, দক্ষিণ ভারতেও কার্তিক পূজার বিশেষ চল রয়েছে। এই বাংলায় তিনি কার্তিক নামে পরিচিত হলেও দক্ষিণ ভারতে তিনি স্কন্ধ মুরুগান সুব্রহ্মণ্য প্রভৃতি নামে পরিচিত ৷ এছাড়া কার্তিকের অনেক নাম আছে অম্বিকেয়, কৃত্তিকাসুত, কুমার, দেব সেনাপতি, গৌরী সুত, শক্তিপানী ইত্যাদি। পশ্চিমবঙ্গের হুগলির বাঁশবেড়িয়া, কাটোয়া প্রভৃতি জায়গা কার্তিক পুজোর জন্য খুবই বিখ্যাত।
কার্তিক পুজোর প্রচলিত কাহিনীঃ
লোকমতে যাদের সন্তান হচ্ছে না যারা নিঃসন্তান তারা যদি কার্তিকের পূজা করেন তাহলে তাদের সন্তান লাভ হয়। বিশ্বাস করা হয়, দেবী দুর্গা ও মহাদেবের পুত্র হলেন দেব সেনাপতি কার্তিক। পৌরাণিক দেবতা কার্তিকের আরাধনা করলে পুত্র সন্তান লাভ করা যায়। কার্তিকের আরাধনায় যে শুধুমাত্র পুত্র সন্তান লাভ হয়, তা কিন্তু নয় কথায় আছে, কার্তিক পুজো করলে সংসারের শ্রীবৃদ্ধি হয় এবং আর্থিক দিকেও লাভ হয়।
এছাড়া কথিত আছে, কার্তিক পুজো শুধুমাত্র সন্তানপ্রাপ্তির জন্যই যে শুধু মাত্র করা হয়, তা নয়, ব্রহ্মা ও বিষ্ণুর পুত্রীদের বিয়ে করেন কার্তিক, ব্রহ্মা ও সাবিত্রীর মেয়ে হলেন দেবী ষষ্ঠীকে। দেবী ষষ্ঠী জন্মসূত্রের দেবী। দেবী সন্তানদের রক্ষা করা, আগলে রাখাই দেবীর মূল উদ্দেশ্য এবং লক্ষ্য। সেই কারণেও নব দম্পতির বাড়িতে এই ঠাকুর ফেলার চল রয়েছে।