কালীপুজো (Kali Puja)হল দুষ্টের দমনের উদ্দেশ্যে শক্তির দেবীর আরাধনা। আগামী ৪ নভেম্বর চলতি বছরের কালীপুজো তার আগে একবার জেনে নিই এই পুজোর তাৎপর্য ও গুরুত্ব। কথিত আছে অসুরদের সঙ্গে যুদ্ধে দেবতারা পরাজিত হন। এরপর তাঁদের প্রার্থনায় দেবী ভগবতীর দেহকোষ থেকে দেবী কৌশিকীর আবির্ভাব ঘটে। তিনি কৃষ্ণবর্ণ রূপ ধারণ করায়, তাঁকে কালী বা দেবী কালিকা হিসেবে পুজো করা হয়। সমাজে যে বেশি শক্তিধর ক্ষমতাও যেন তার বশীভূত। তাই যেনতেনপ্রকারেণ শক্তিশালী হয়ে লমতাকে কুক্ষীগত করার প্রতিযোগিতা চলছে। দুষ্টু লোকের ক্ষমতা এই দুনিয়ায় কম নেই। তাই দুষ্টের দমন করতে চাইলে আপনাকে শক্তিধর হতেই হবে।
আর দুস্টের দমনের উদ্দেশ্যেই হয় দেবী কালিকার আরাধনা। কালী দশমহাবিদ্যার প্রথম রূপ। তার রং কালো। প্রত্যেক মানুষের মধ্যেই আছে ষড়রিপু ষড়রিপু এরা হলেন কাম, ক্রোধ ,লোভ, মোহ, মায়া এবং মাৎসর্য। আর এই ষড়রিপু আমাদের খারাপ পথে নিয়ে যায়। যেহেতু মা কালী আদ্যা শক্তির দেবী অর্থাৎ শক্তি এবং সাহস অর্জন করার জন্য এই দেবীর পুজো করা হয়। প্রাক আর্য যুগ থেকেই কালীপুজো হয়ে আসছে। কালিকা পুরাণে আমরা দেখি, আদি শক্তিরূপে তিনি যোগীদের মন্ত্র ও মন্ত্রের মর্ম উদঘাটনে তত্পর। পরমানন্দা সত্ত্ববিদ্যাধারিণী জগন্ময়ী রূপ তার। বীজ থেকে যেমন অঙ্কুরের নির্গমন হয় এবং জীবের ক্রমবিকাশ হয় ঠিক তেমনই সেই সব সৃজনই তার সৃষ্টিশক্তি।
এক সময় প্রাকৃতিক শক্তির ভয়াল রূপকে বশে ানতে পারত না প্রাচীন মনুষ্য জাতি। বরং দুর্জ্ঞেয় শক্তিকে দেবতা জ্ঞানে পুজো করা হত। মহামায়াকে যেমন শষ্যশ্যামলা প্রকৃতির প্রতিভূ হিসেবে পুজো করা হয়। তেমনই আদ্যাশক্তির দেবী কালী।