গাজর এমন একটি পুষ্টিকর খাবার, যা সবজি হিসেবে ব্যবহার করার পাশাপাশি পরোটা, স্যান্ডউইচ, সালাদ, স্যুপ, জুস, পুডিং, মিষ্টি এবং হালুয়ার জন্যও ব্যবহৃত হয়। গাজরে ফাইবারের সঙ্গে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যারোটিনয়েড এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এগুলি শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর সঙ্গে চোখ এবং ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্যও খুব ভালো। গাজরের গুণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রতি বছর ৪ এপ্রিল পালন করা হয় আন্তর্জাতিক গাজর দিবস। এই দিনটি পালন করা শুরু হয় ২০০৩ সালে।

গাজর পুষ্টিগুণে ভরপুর। গাজর দৃষ্টিশক্তি, হৃদয়, ত্বক এবং মস্তিষ্ক উন্নত করে। গাজরে রয়েছে ভিটামিন সি, কে, পটাশিয়াম এবং বায়োটিন। গাজরে উপস্থিত ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বককে চকচকে ও মসৃণ করে। গাজরে উপস্থিত পটাশিয়াম হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। গাজরের ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বজায় থাকে। তবে গাজর অনেক রঙের হয় এবং প্রতিটি রঙের গাজরের ভিন্ন ভিন্ন গুণ রয়েছে। চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক গাজর কী কী রঙের হয় এবং তাদের কী কী গুণ রয়েছে।

  • লাল গাজর: ভারতে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায় লাল গাজর‌। লাল গাজরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং হার্টকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
  • বেগুনি গাজর: বেগুনি গাজর খুবই পুষ্টিকর এবং স্বাস্থ্যকর হয়। বেগুনি গাজরে রয়েছে ফাইবার, ম্যাঙ্গানিজ, পটাশিয়াম, ভিটামিন সি, ভিটামিন এ এবং সব ধরনের ভিটামিন বি। বেগুনি গাজরে ক্যালোরিও রয়েছে। বেগুনি গাজর ক্যান্সার, হৃদরোগ, মানসিক সমস্যার জন্য উপকারী।
  • হলুদ গাজর: হলুদ গাজর অন্যান্য রঙের গাজরের চেয়ে মিষ্টি হয়। হলুদ গাজরে লুটেইন থাকার কারণে এটি চোখের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এছাড়া হলুদ গাজর ত্বককে উজ্জ্বল করে তোলে।
  • কমলা গাজর: ১৮৭১ সালে ম্যাসাচুসেটসে গাঢ় কমলা রঙের গাজরের উৎপাদন শুরু হয়। এই গাজর ৬-৮ ইঞ্চি লম্বা হয়। এই গাজরে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চোখের জন্য খুবই উপকারী। এতে উপস্থিত বিটা ক্যারোটিন শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন এ বজায় রাখতে সাহায্য করে।
  •  সাদা গাজর: সাদা গাজরে ক্যান্সার প্রতিরোধক বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়। এই গাজর খেলে ফুসফুস ও স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে যায়। এই গাজর ত্বককে ক্ষতিকর সূর্যালোক থেকে রক্ষা করে। সাদা গাজরে উপস্থিত ফাইবার হজম প্রক্রিয়াকে ঠিক রাখে।