দিল্লি-এনসিআরে ক্রমাগত বাড়ছে সোয়াইন ফ্লু আক্রান্তের সংখ্যা। দিল্লি এবং তার আশেপাশের অঞ্চলে তাপমাত্রা কমে যাওয়ার সঙ্গে বৃদ্ধি পাচ্ছে সোয়াইন ফ্লুয়ের সংক্রমণ। এটি অত্যন্ত সংক্রামক ভাইরাস। বিশেষজ্ঞদের মতে, সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্ত হওয়ার পেছনে অনেক কারণ হতে পারে। যেমন ঋতু পরিবর্তন, তাপমাত্রার হঠাৎ করে কমে যাওয়া, টিকা দেওয়ার হার কমে যাওয়া, সংক্রমণ সম্পর্কে সচেতনতার অভাব এবং অপর্যাপ্ত স্বাস্থ্যসেবা।
H1N1 ফ্লু, যা সাধারণত সোয়াইন ফ্লু নামে পরিচিত। ২০০৯-২০১০ এ এই নতুন ভাইরাস H1N1 মানুষের মধ্যে রোগ সৃষ্টি করতে শুরু করে। এই রোগকে সোয়াইন ফ্লু বলা হয়, এটি শূকর, পাখি এবং মানুষকে সংক্রমিত করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সোয়াইন ফ্লুর লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে জ্বর, সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা, বন্ধ নাক, শরীর ও মাথা ব্যথা, ক্লান্তি এবং কখনও কখনও বমি বা ডায়রিয়া। সংক্রমণের প্রভাব গুরুতর হলে নিউমোনিয়া এবং শ্বাসযন্ত্র ব্যর্থ হতে পারে।
সোয়াইন ফ্লুর ঝুঁকির কারণগুলির মধ্যে রয়েছে সংক্রামিত ব্যক্তির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ, দুর্বল প্রতিরোধ ব্যবস্থা, হাঁপানি, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ এবং গর্ভাবস্থা। উপসর্গ অনুভব করলে ডাক্তারের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। বিশেষ করে যদি সম্প্রতি সোয়াইন ফ্লু সংক্রমিত এলাকায় যাওয়া হয়েছে বা সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্ত কারোর সংস্পর্শে থাকলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া দরকার।