হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে মহিলাদের প্রায়ই দেখা যায় PCOS এর সমস্যা, যার কারণে দেখা দেয় কিছু মারাত্মক সমস্যা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, সারা বিশ্বে ৮-১৩ শতাংশ নারী শিকার হয় PCOS এবং PCOD-এর। এমন পরিস্থিতিতে, সুস্থ জীবনযাত্রার সঙ্গে খাদ্যাভ্যাসের যত্ন নেওয়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। অতিরিক্ত চিনি খেলে শরীরে ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, যার কারণে PCOS-এর শিকার হতে পারে মহিলারা। PCOS বা PCOD-এর সময় অতিরিক্ত মিষ্টি, স্ন্যাকস, সোডা এবং চিনিযুক্ত পানীয় পান করা উচিত নয়। এর ফলে আরও বাড়তে পারে সমস্যা।
PCOS হল এমন একটি অবস্থা যেখানে ডিম্বাশয় স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ডিম উৎপাদন করে। এর কারণে ডিম্বাশয়ে সিস্ট তৈরি হতে শুরু করে, যার কারণে অনেক সমস্যা দেখা দেয়। PCOS এবং PCOD-এর কারণে অনিয়মিত পিরিয়ড, মুখে ব্রণ, স্থূলতা এবং মেজাজে পরিবর্তনের মতো বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। PCOS এবং PCOD সাধারণত খারাপ জীবনধারা এবং ডায়েটের কারণে হয়। PCOS সহ সমস্ত মহিলা গ্লুটেনের প্রতি সংবেদনশীল নয়। অন্তত ১ মাসের জন্য গ্লুটেন-মুক্ত থাকা PCOS উপসর্গগুলি পরিচালনা করতে সাহায্য করতে পারে।
দুগ্ধজাত দ্রব্য এন্ড্রোজেনের মাত্রা বাড়াতে এবং ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা খারাপ করতে পারে। তাই এই ধরনের খাবার থেকে দূরে থাকা উচিত। PCOD এবং PCOS ট্রিগার করতে পারে চিপস এবং জাঙ্ক ফুড, তাই এগুলো সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলা উচিত। ভাজা খাবার যেমন ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, পটেটো চিপস, কর্ন চিপস এবং ফ্রাইড চিকেন বা মাছ, এছাড়াও চর্বি এবং মাখন খাওয়া এড়িয়ে চলা জরুরি। রেড মিট, হ্যামবার্গার, রোস্ট বিফ এবং স্টেক, প্রক্রিয়াজাত লাঞ্চ মিট এবং হট ডগ খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। উপরন্তু প্রক্রিয়াজাত স্ন্যাকস, যেমন কেক, কুকিজ, ক্যান্ডি এবং পাইও ট্রিগার করতে পারে PCOS এবং PCOD।