বসন্তকাল (Picture Credits: Google)

শীত শেষে গ্রীষ্মের আগে বসন্তের প্রবেশ। আজ ২০ মার্চ, ২০২১ থেকে সমগ্র উত্তর গোলার্ধজুড়ে বসন্তের আগমন, চলবে ২১ জুন পর্যন্ত। ভারতে বসন্ত এল, ডুডলের মাধ্যমে তারই বার্তা দিল গুগল (Google Doodle)।বসন্ত, বসন্তকাল (Spring) নামেও পরিচিত। বসন্তের বিভিন্ন প্রযুক্তিগত সংজ্ঞা রয়েছে, তবে শব্দটি স্থানীয় জলবায়ু, সংস্কৃতি এবং রীতিনীতি অনুসারে পরিবর্তিত হয়। যখন উত্তর গোলার্ধে বসন্ত হয়, তখন দক্ষিণ গোলার্ধে তার বিপরীতে শরৎ হয়। বসন্তে দিন এবং রাত প্রায় বারো ঘণ্টা সমান সমান দীর্ঘ হয়। যত দিন এগোতে থাকে ততই ধীরে ধীরে দিনের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি এবং রাতের সময়ের দৈর্ঘ্য হ্রাস পায়।

বসন্তকাল পুনর্জন্ম, নবজীবন, পুনর্নবীকরণ, পুনরুত্থান এবং পুনর্জীবনের মরসুম। উষ্ণমন্ডলীয় এবং গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলের জলবায়ু অনুযায়ী এই মরসুম অন্য সব কটি মরসুমের থেকে বেশি ভালো বলে ধারণা করা হয়। শুকিয়ে পড়া গাছে নতুন পাতা আসে, ফুলে ফুলে ভরে যায় গাছপালা। নেই অঝোর বৃষ্টি, নেই শীতের হাড়কাঁপানো ঠান্ডা, না আছে গ্রীষ্মের দাবদাহ। তাই বসন্তকালকে অপেক্ষাকৃত মনোরম বলে ধরা হয়। আরও পড়ুন, ঘণ্টা খানেকের জন্য বিপর্যস্ত WhatsApp ও Instagram, তোলপাড় বিশ্ব

এসময়ে দেশজুড়ে আবিরের রঙে মেতে ওঠার সময়; জাঁকজমক ভাবে পালিত হয় 'হোলি' বা দোলযাত্রা। অসমবাসীদের বিহু উৎসব পালিত হয় এসময়ে। যদিও বঙ্গভূমিতে বসন্তের আগমন বেশ আগেই হয়ে যায়। বসন্তকালকে 'ঋতুরাজ' বলেও অভিহিত করা হয়। এই সময়ে বিশেষ যে ফুলগুলি কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া, অশোক, পলাশ, মহুয়া, রুদ্রপলাশ, শিমূল, হিমঝুরি, ইউক্যালিপটাস ইত্যাদি। বসন্তকালে আমগাছগুলোতে মুকুল ধরতে থাকে। কোকিলের কুহুতানে বসন্তকে আগমন জানায় 'সোনার বাংলা'। এসময়ের উৎসব হল বসন্ত পঞ্চমী। বিদ্যা ও সঙ্গীত-সংষ্কৃতির দেবী সরস্বতীর আরাধনাকে কেন্দ্র করে এই উৎসব পালিত হয়। শাস্ত্রীয় বিধান অনুসারে মাঘ মাসের শুক্লা পঞ্চমী তিথিতে সরস্বতী পূজা আয়োজিত হয়। তিথিটি বসন্ত পঞ্চমী নামেও পরিচিত। বসন্তের মৃদুমন্দ দখিনা বাতাস সেইসময় থেকেই বইতে শুরু করে। সরস্বতী পুজো আপামর বাঙালীর ‘ভ্যালেন্টাইনস ডে’। বসন্তের শেষে চৈত্র মাসে একটি ভালো মজার ব্যাপার হয় বাঙালীদের, ‘চৈত্র সেল’। চৈত্রে বসন্তকে বিদায় জানিয়ে হয় গ্রীষ্মের আগমন। অন্যদিকে, উত্তর গোলার্ধ তখনও বসন্তে মজে থাকে।