কলকাতা, ৬ এপ্রিল: করোনা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন তো? এবার গপ করে গিলে ফেলতে পারবেন আপনার আতঙ্ককে। কারণ শুধু করোনা ফ্রাই নয়, মিষ্টিপ্রিয় বাঙালিও কোনো অংশে কম যায় না। তাই তো সোশ্যাল মিডিয়ায় রে রে পড়ে গেল। আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু করোনা সন্দেশ এবং কেক (Corona Sweets & Cake)। কিছুদিন ধরে করোনা ফ্রাই নিয়ে মেতে উঠেছিল নেটিজেনরা। এবার ভাইরাসের নামে সন্দেশ বানিয়ে ফেললো যাদবপুরের মিষ্টি বিপণি (Jadavpur Sweet Shop)।
বাঙালি প্রচন্ড থিমপ্রিয় তার ঝলক আমরা দুর্গাপুজো থেকে জগদ্ধাত্রী পুজোতেই দেখি। হয়তো এবারের পুজোতেও করোনা প্যান্ডেল দেখবে রাজ্যবাসী তাও নেহাত উড়িয়ে দিচ্ছে না বাঙালির মানুষ। তাই বলে করোনা সন্দেশ? হ্যাঁ, হবে নাই বা কেন? এমন একটা বিশ্বব্যাপী মারণ রোগকে টপ করে গিলে ফেলতে কেমন মজা লাগবে ভাবুন তো। না, তবে মজা করার জন্য যে এই মিষ্টি বানানো হয়েছে তা একেবারেই নয়। এর মধ্যে রয়েছে সচেতনতার বার্তা (Awareness)। আরও পড়ুন, বাঘিনীর শরীরে করোনাভাইরাস, মার্কিন মুলুকের চিড়িয়াখানায় নয়া আতঙ্ক
আলোড়ন ফেলা কিছু ঘটলেই সেই বিশেষ পরিস্থিতি নিয়ে নতুন মিষ্টি তৈরি করে ক্রেতাদের সামনে তুলে ধরে যাদবপুরের এই মিষ্টি বিপণি। এ শহরে রয়েছে তাদের কয়েকটি শাখা। তাদেরই একটি যাদবপুরের ওই দোকানে বসে কর্ণধার রবীন পাল আনন্দবাজার পত্রিকাকে জানান, "বিশ্বে আলোড়ন ফেলে দেওয়া করোনাভাইরাস এখন সর্বত্র আলোচ্য বিষয়। আতঙ্কের এই আবহে সচেতনতার বার্তা ছড়িয়ে দিতে তাই কারিগরদের দিয়ে বানিয়ে ফেলা হয়েছে ওই বিশেষ সন্দেশ এবং কেক। এই মিষ্টি খাইয়ে তো বটেই, এমনকি মিষ্টির প্যাকেটেও করোনা সম্পর্কে সচেতনতার বার্তা প্রচার করা হবে বলে জানাচ্ছেন ব্যবসায়ী।"
সারা দেশে ২১ দিনের লকডাউন চলছে। ফলে বন্ধ ছিল মিষ্টির দোকানও। গ্রামের বাড়িতে ফিরে গিয়েছিলেন বেশির ভাগ কারিগর। কিন্তু দিন কয়েক আগে নষ্ট হয়ে যাওয়া দুধের কথা ভেবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি পাড়ার মিষ্টির দোকানগুলি চার ঘণ্টার জন্য খুলে রাখতে অনুরোধ করেন। পরদিনই দোকানে থাকা অল্প কয়েক জন কারিগর নিয়ে নেমে পড়েছিলেন এই বিক্রেতা।