
রাশিয়া-ইউক্রেন এবং ইসরাইল-হামাসের মধ্যে গত বছর যে রক্তক্ষয়ী সংঘাত শুরু হয়েছিল তা এখনও থামেনি। এই ধরনের পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ এবং সাধারণ জীবনে শান্তি বজায় রাখার লক্ষ্যে প্রতি বছর ২৩ ফেব্রুয়ারি পালিত হয় বিশ্ব শান্তি ও বোঝাপড়া দিবস (World Day of Peace & Understanding 2024)।
১৯০৫ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি শিকাগোর ইউনিটি বিল্ডিংয়ের ৭১১ নম্বর কক্ষে বিশ্বে শান্তি ও সৌহার্দ্য বিকাশের জন্য ৪ ব্যক্তিত্ব মিলিত হয়েছিল। এরা হলেন পল হ্যারিস, গুস্তাভাস লোহর, সিলভেস্টার শিয়েল এবং হিরাম শোর লোহার। একটি পেশাদার সমিতি গঠন করতে চেয়েছিলেন অ্যাটর্নি পল হ্যারিস। তিনি তার দলের নাম রাখেন রোটারি ক্লাব। ধীরে ধীরে তার মানবিক মূল্যবোধের কারণে আরও অনেকে যোগ দিতে শুরু করে ক্লাবে। ১৯২২ সালে এই ক্লাবের নামকরণ করা হয় আন্তর্জাতিক রোটারি ক্লাব। শীঘ্রই এই ক্লাবটি বিশ্বের বৃহত্তম দাতব্য সংস্থা হিসেবে পরিচিতি হয়। এই সংগঠনের স্মরণে প্রতি বছর পালিত হয় বিশ্ব শান্তি ও সমঝোতা দিবস।
শান্তি, সৌহার্দ্য ও বোঝাপড়া অর্থাৎ শত্রুতা ও সহিংসতা দূর করে সামাজিক বন্ধুত্ব ও সৌহার্দ্যের প্রচার। বর্তমানে বিভিন্ন দেশের মধ্যে বিপজ্জনক যুদ্ধ এবং শত্রুতার পরিপ্রেক্ষিতে, সারা বিশ্বে শান্তি এবং সাধারণ বোঝাপড়ার বিকাশের লক্ষ্যে এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন। এই বিশেষ দিনে, গোটা বিশ্বে শান্তি ও বোঝাপড়ার বিকাশের প্রচেষ্টা প্রচার করা হয়। সামাজিক অর্থে, ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর মধ্যে সহিংসতার ভয় থেকে মুক্তি।
বিশ্বজুড়ে শান্তি ও বোঝাপড়ার জন্য সমস্ত দেশগুলির মধ্যে ভারতকে সবচেয়ে দায়িত্বশীল বলে মনে করা হয়। স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে স্বাধীনতা অর্জন পর্যন্ত আজও, ভারত বিশ্বের অশান্ত দেশগুলির মধ্যে শান্তিপূর্ণ মীমাংসার জন্য প্রতি মুহূর্তে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনীতে ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম অবদান রয়েছে। উল্লেখ্য, বিশ্বযুদ্ধের সময় মহাত্মা গান্ধী হিটলারকে চিঠি লিখে অহিংসার পথ বেছে নিতে বলেছিলেন। মহাত্মা গান্ধীর এই চিঠি বিশ্ব শান্তির অনুভূতিতে অনুপ্রাণিত হয়েছিল। তিনি বিশ্বাস করতেন যে 'চোখের বদলে চোখ' এই নীতি সমগ্র বিশ্বকে অন্ধ করে দেবে। শুধু তাই নয়, বিশ্ব শান্তির ক্ষেত্রে আজও ভারতীয় প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।