পুরাণ মতে(Vedic era ), সমুদ্র মন্থনের সময়ই উঠে এসেছিল শঙ্খ। যা পরবর্তীকালে স্থান পায় ভগবান বিষ্ণুর হাতে। কথিত আছে, চন্দ্র-সূর্য-বরুণ দেব শঙ্খের একেবারে নিচে অবস্থান করেন। মধ্যভাগে প্রজাপতি এবং বাকিভাগে থাকেন গঙ্গা ও সরস্বতী। তাই শঙ্খধ্বনি এই সকল ঈশ্বরের আশীর্বাদ পেতে সাহায্য করে। দুধরনের শঙ্খ(conch shell) হয়ে থাকে, এমনকী বিজ্ঞানও মেনে নিয়েছে এই পবিত্র ধ্বনি নানা জীবাণু থেকে শরীরকে দূরে রাখে। একপ্রকার পুজোয় যা বাজাতে হয় এবং অন্যটি দুধ দিয়ে ধুয়ে পুজো স্থানে রাখা হয়। যেটিকে শঙ্খপাণি( Sankha )ও বলা হয়ে থাকে। যার আকার অপেক্ষাকৃত ছোট। তাতে মূলত গঙ্গা জল রাখা হয়ে থাকে।
হিন্দু শাস্ত্র মতে, দেবাদিদেব শিবের মাথার উপরের দিকে কোথাও শঙ্খ রাখবেন না। শঙ্খের জল যেন শিবের(Lord Shiva) মূর্তি অথবা শিবলিঙ্গে না পড়ে। শাঁখটি এমনভাবে রাখবেন, যাতে তার সূচালো দিকটি ভগবানের দিকে থাকে। সবচেয়ে ভাল হয় যদি শঙ্খের উপর একটি স্বস্তিক চিহ্ন এঁকে দিতে পারেন। আলাদা করে কি শঙ্খের পুজো করেন? যদি না করেন, তবে সোমবার করে শঙ্খ পুজো করতেই পারেন। যে কোনও দিনই শাঁখের পুজো করা যায়। তবে সোমবারই আদর্শ। এতে সংসারের আর্থিক উন্নতি হয়।
শুদ্ধতার প্রতীক এই শঙ্খ যে কোনও শুভ কাজে তো বটেই, সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় পুজো-পাঠে। আর সেই কারণেই কিছু আচার-নিয়ম মেনেই বাড়িতে শঙ্খ রাখতে হয়। নাহলে এর ভাল গুণগুলি থেকে বঞ্চিতই হতে হবে। খেয়াল রাখবেন, যে শঙ্খ বাজানো হয়, সেই শঙ্খ যে জল দিয়ে ধুয়ে পুজোয় না ব্যবহার করা হয়। শঙ্খ কেনার সময় একইসঙ্গে দুধরনেরই কিনবেন। বাড়িতে সেগুলিকে অবশ্যই পৃথকভাবে রাখবেন। তবে বাজার থেকে এনেই সেগুলি ব্যবহার করবেন না। গঙ্গাজল দিয়ে ধুয়ে সেগুলি ঠাকুরের স্থানে রাখুন। চেষ্টা করুন যে শঙ্খটি বাজাবেন সেটি রাখবেন হলুদ কাপড়ে এবং অন্যটি সাদা কাপড়ে। এতে সংসারে শুভ শক্তির আগমন ঘটে।