মা কালী। (Photo Credits: Wikipedia)

কালী (Kali) মানেই শক্তির আরাধনা ৷ ক দিন পরেই কালীপুজো। এমন সময় দেবী কালীকে নিয়ে অনেক প্রশ্নের কথা মাথায় আসে। তার মধ্যে মা কালীর নামের প্রসঙ্গ আসে। আসে দেবী কালীর বিভিন্ন রূপের উপসানার কথা। মা কালীর অষ্টোত্তর শতনাম। দশমহাবিদ্যা নামে পরিচিত তন্ত্রমতে পূজিত প্রধান দশ জন দেবীর মধ্যে প্রথম দেবী হলেন কালী।  আর মূলত আটটি রূপের উপাসনা আমরা করে থাকি। যা তোড়ল তন্ত্র মতে, অষ্টধা বা অষ্টবিধ নামে পরিচিত।কালীর বিভিন্ন রূপের বর্ণনা পাওয়া যায় বিভিন্ন পুরাণ ও তন্ত্র গ্রন্থগুলিতে ।

মা কালীর আটটি রূপ হল- দক্ষিণাকালী, চামুণ্ডাকালী, সিদ্ধকালী, শ্রীকালী, গুহ্যকালী, মহাকালী, ভদ্রকালী এবং শ্মশানকালী। প্রধানত শাক্ত ধর্মাবলম্বীরা কালীর পূজা করেন।

প্রধানত শাক্ত ধর্মাবলম্বীরা কালীর আরাধনা করে থাকেন। তন্ত্রশাস্ত্রের মতে, তিনি দশমহাবিদ্যা নামে পরিচিত তন্ত্রমতে পূজিত প্রধান দশ জন দেবীর মধ্যে প্রথম দেবী। শাক্তরা কালীকে বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টির আদি কারণ মনে করে। আরও পড়ুন-বিলিতি খড়্গ দিয়ে বলি হয় কলকাতার এই বনেদী বাড়িতে; বউবাজারের হালদার বাড়িতে তিনশো বছর ধরে পূজিতা হন মা কালী

মা কালীর দশ নাম:-

১) সতী, ২)জয়া, ৩) সত্যানন্দস্বরূপিণী, ৪) ভবানী, ৫) চন্দ্রঘণ্টা, ৬) নিত্যা, ৭) দক্ষকন্যা, ৮) ত্রিনেত্রা, ৯) চিত্রা, ১০) দক্ষকন্যা।

এছাড়াও মা কালীর বেশ কিছু নাম আছে সেগুলি হল-

ভবপ্রীতা, অহঙ্কারা, ভাবিনী, সদাগতি,  নিশুম্ভনিশুম্ভহননী,মধুকৈটভহন্ত্রী, চণ্ডমুণ্ডবিনাশিনী , সর্বাসুরবিনাশা, সর্বদানবঘাতিনী, সর্বশাস্ত্রময়ী, সত্যা, সর্বাস্ত্রধারিণী, অনেকশস্ত্রহস্তা,নেকাস্ত্রধারিণী ,কুমারী, সাবিত্রী,প্রত্যক্ষা, ব্রহ্মবাদিনী।

করালিনী কালী মাগো কৈবল্যদায়িনী।

জগদম্বা নামে তুমি বিমুক্তকারিণী ।।

দুঃখনাশ কর বলে হলে দুঃখহারা।

জগতের মাতা তুমি হর-মনোহরা।।

দনুজ দলন করি দনুজদলনী।

দুর্গতিনাশিনী তুমি দেবী নারায়ণী।।

দূর্গাসুর বধ করি দূর্গা নামে খ্যাতা।

ত্রিলোচনী তুমি মাগো জগতের মাতা।।

মুক্তি দান করি তুমি তাঁরা নাম ধর।

তারিণী নামেতে তুমি জগৎ রক্ষা কর।