ভগবান বিষ্ণুর প্রিয় দিন বলে মনে করা হয় একাদশী তিথিকে। ২০২৫ সালের দ্বিতীয় একাদশী হল ষটতিলা একাদশী এবং গুরুত্বপূর্ণ একাদশীর মধ্যে একটি হল এই একাদশী। ২০২৫ সালে ষটতিলা একাদশী পালন করা হবে ২৫ জানুয়ারি। এই দিনে ভগবান বিষ্ণুর পজা করলে সমস্ত ইচ্ছা পূর্ণ হয়। পদ্মপুরাণ অনুসারে, ষটতিলা একাদশীতে ভগবান হরি পুজো এবং তিল উৎসর্গের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। মান্যতা রয়েছে, এই দিনে তিল দান, তিল স্নান, তিলের থালা খাওয়া এবং তর্পণ করলে বিশেষ পুণ্য লাভ হয়। এই দিনে বিভিন্নভাবে তিল ব্যবহারের কারণে একে ষটতিলা একাদশী বলা হয়। মান্যতা রয়েছে, এই দিনে যত বেশি তিল দান করা হবে, তত বেশি পাপ মুক্ত হবে জীবন।
স্কন্দ পুরাণ অনুসারে, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেছিলেন ষটতিলা একাদশীতে উপবাস করলে জীবন দারিদ্র্য মুক্ত হবে, অকাল মৃত্যুর ভয় থাকবে না, শত্রুরা পরাজিত হবে এবং পূর্বপুরুষদের আশীর্বাদ লাভ হবে। এছাড়া ষটতিলা একাদশীর উপবাসের গল্প অনুসারে, একজন বিধবা ব্রাহ্মণ মহিলা বেশিরভাগ সময় ভগবান হরি পুজো করতেন। তিনি ভগবান হরির পুজো করলেও দান না করার কারণে তাঁর সৎকর্ম অসম্পূর্ণ থেকে যায়। একদিন শ্রী হরি ভিক্ষুকের আকারে সেই মহিলার কুঁড়েঘরে পৌঁছে ব্রাহ্মণ মহিলার কাছে ভিক্ষা চাইলেন, তবে ব্রাহ্মণ মহিলা একটি পাথর দিলেন তাঁকে।
শ্রীহরি বৈকুণ্ঠধামে ফিরে আসার পর ব্রাহ্মণ মহিলাটি মারা যান। তিনি বৈকুণ্ঠলোকে পৌঁছে শ্রীহরির কাছে গিয়ে বললেন, হে প্রভু! আমি সারা জীবন আপনার পুজো করেছি, কিন্তু আমি একটি খালি কুঁড়েঘর খুঁজে পেয়েছি। তখন শ্রী হরি তাকে বলেন যে তিনি এক মাস ধরে অন্নদান করেননি, শ্রী হরি সাধুর বেশে গেলেও তিনি একটি পাথর দিয়েছিলেন। এরপর শ্রীহরি তাকে ষটতিলা একাদশী উপবাস পালনের পরামর্শ দিলে, ব্রাহ্মণ মহিলা মাঘ একাদশীতে ষটতিলা একাদশী উপবাস পালন করেন এবং তার কুঁড়েঘর সম্পদ ও সমৃদ্ধিতে ভরে যায়। সেই থেকে ষটতিলা একাদশী উপবাসের ঐতিহ্য শুরু হয়।