হোলির আগের একাদশীকে বলা হয় রঙ্গভারী একাদশী। এই একাদশী পরিচিত আমলকী একাদশী নামেও। এই দিনে ভগবান বিষ্ণু ও দেবী লক্ষ্মীর সঙ্গে পুজো করা হয় শিব ও দেবী পার্বতীর। ফাল্গুন মাসের শুক্লপক্ষের একাদশী তিথিতে পড়ে রঙ্গভারী একাদশী। ২০২৪ সালে এই একাদশী পালন করা হবে ২০ মার্চ। ফাল্গুন শুক্লপক্ষ একাদশী শুরু হবে ১৯ মার্চ, মঙ্গলবার, রাত ১২:২৪ মিনিটে এবং শেষ হবে ২০ মার্চ, বুধবার, রাত ০২:৪২ মিনিটে। একাদশীর উপবাস ও পুজোর শুভ সময় হল ২০ মার্চ, বুধবার, সকাল ০৬.২৫ মিনিট থেকে সকাল ৯.২৭ মিনিট পর্যন্ত।

রঙ্গভারী একাদশীর দিনে ভগবান শিব ও বিষ্ণুর একত্রে উপাসনা করা হয়, যা বিরল উপাসনার দিন হিসেবে মানা হয়। এই সময় একসঙ্গে ভগবান শিব, বিষ্ণু, দেবী লক্ষ্মী ও মা পার্বতীর বিশেষ আশীর্বাদ পাওয়া যায়। যার ফলে মানুষের সব সমস্যা দূর হয় তথা স্বাস্থ্য এবং আর্থিক সমস্যাও দূর হয়। রঙ্গভারী একাদশীতে, শিবলিঙ্গে অর্পণ করা হয় ২১টি চন্দন পাতা এবং আবির। এরপর শিব চালিসা পাঠ করলে কুণ্ডলীতে বিরাজমান গ্রহ-নক্ষত্রের অশুভ শক্তি দূর হয়ে সুখ ও সমৃদ্ধি আসে। চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক এই একাদশীর পুজো করলে কোন কোন সমস্যার সমাধান মিলবে।

  • বিবাহে বাধা-বিপত্তি থাকলে রঙ্গভারী একাদশীর দিন সূর্যাস্তের পর শিব ও পার্বতীর পুজো করতে হবে। পুজো করার সময় শিব ও পার্বতীকে গোলাপী রঙের আবির অর্পণ করে বিবাহে আসা বাধা দূর করার জন্য প্রার্থনা করতে হবে।
  • কোনও কঠিন অসুখ থাকলে রঙ্গভারী একাদশীর দিন সারাদিন উপবাস করে মধ্যরাতে শিবলিঙ্গে বিল্বপত্র ও জলের সঙ্গে লাল, হলুদ ও সাদা রঙের আবির নিবেদন করে মন্ত্রের জপ করতে হবে।
  •  রঙ্গভারী একাদশীতে ভগবান বিষ্ণুকে আমলা নিবেদন করে ১০৮ বার মন্ত্র জপ করতে হবে। এর ফলে চাকরি বা ব্যবসায় লাভ হয়।
  • কুণ্ডলীতে শনির ছায়া থাকলে রঙ্গভারী একাদশীর দিন ভগবান শিবের পুজো করার সময় শিব তাণ্ডব স্তোত্র পাঠ করতে বা শুনতে হবে, এতে শনির প্রভাব কমবে বা দূর হবে।