রাজস্থানে অনেক মহাপুরুষ ছিলেন যারা মানব রূপ ধারণ করেছিলেন এবং কর্ম ও তপস্যার মাধ্যমে মানুষের জীবনকে আলোকিত করেছিলেন। চরিত্র, কর্ম ও অঙ্গীকারের কারণে জনমনে লোকদেবতার মর্যাদা লাভ করেন তারা। জনগণের কাছে পূজিত হতে থাকেন তারা। এই ধরনের লোকদেবতার মধ্যে একজন হলেন বাবা রামদেব, যার প্রধান মন্দির রয়েছে জয়সলমীর জেলার রামদেবরায়। সদিচ্ছার জীবন্ত উদাহরণ তিনি। ২০২৪ সালে বাবা রামদেব জয়ন্তী উৎসব পালিত হবে ৫ সেপ্টেম্বর।
হিন্দু সমাজে তাকে "বাবা রামদেব" নামে এবং মুসলিম সমাজে "রামসা পীর" নামে পুজো করা হয় তাকে। ভগবান কৃষ্ণের অবতার বলে মনে করা হয় বাবা রামদেবকে। বাবা রামদেবের আবির্ভাব দিবস উপলক্ষে ভাদ্র মাসের দ্বিতীয় শুক্লপক্ষে আয়োজন করা হয় রামদেব মেলার। ১ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলে এই মেলা।২০২৪ সালে রামদেব মেলা শুরু হবে ৫ সেপ্টেম্বর। মধ্যযুগীয় লোকদেবতা বাবা রামদেবের দর্শন পেতে যেতে হয় রাজস্থানের পোকারন থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে রামদেবরায়।
রামদেবরাতে বছরে ২ বার আয়োজন করা হয় বড় মেলার। ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষে এবং মাঘ মাসের দ্বিতীয়া থেকে দশমী পর্যন্ত মেলা হয়। ভাদ্র মাসে রাজস্থানের যেকোনও রাস্তায় গেলে দেখতে পাওয়া যায় শত শত দল রামদেবরার দিকে যাচ্ছে এবং তাদের হাতে দেখতে পাওয়া যায় সাদা বা ৫ রঙের পতাকা। এসব দলে পূর্ণ উদ্যমে অংশগ্রহণ করে ছোট থেকে বয়স্ক, পুরুষ, মহিলা ও শিশু সকল বয়সের মানুষ। রুনিচায় যেখানে বাবা রামদেব সমাধি গ্রহণ করেছিলেন সেখানে একটি বিশাল মন্দির তৈরি করেছিলেন বিকানেরের রাজা গঙ্গা সিং। বাবার সমাধি ছাড়াও তার পরিবারের সদস্যদের সমাধিও রয়েছে এই মন্দিরে।