পিতামাতা এবং সন্তানের মধ্যে সম্পর্ক জন্মগত, তাই এই সম্পর্ক খুবই বিশেষ। এই সম্পর্ককে আরও বিশেষ করে তোলার জন্য প্রতি বছর জুলাই মাসের চতুর্থ রবিবার পালন করা হয় জাতীয় অভিভাবক দিবস। পিতামাতার সঙ্গে ভ্রমণ করে, সিনেমা দেখে আনন্দের সঙ্গে পালন করা হয় এই দিনটি। বিভিন্ন ত্যাগ ও ভালবাসার সঙ্গে সন্তানদের শৈশব থেকে যৌবনকাল পর্যন্ত লালন-পালন করেন পিতামাতা। জাতীয় অভিভাবক দিবস উপলক্ষে পিতামাতার সমস্ত ত্যাগ ও ভালবাসাকে স্মরণ করে ধন্যবাদ জানানো হয় তাদের। ১৯৭৩ সালে পালন করা শুরু হয় জাতীয় অভিভাবক দিবস। দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রথম পালন করা হয় এই দিনটি।
১৯৯৪ সালে আমেরিকাতে পালন করা হয় জাতীয় অভিভাবক দিবস। আমেরিকায় যেদিন প্রথম জাতীয় অভিভাবক দিবস পালন করা হয় সেই দিনটি ছিল জুলাই মাসের চতুর্থ রবিবার, তাই অনেক দেশে জাতীয় অভিভাবক দিবস পালন করা হয় জুলাই মাসের চতুর্থ রবিবার। কিন্তু অনেক দেশ এই দিনটি পালন করা হয় ডিসেম্বর মাসে। সন্তানদের প্রতি ভালোবাসার জন্য তাদের জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করেন পিতামাতা। অনেক পরিশ্রম করে সন্তানদের স্বপ্ন পূরণের চেষ্টা করেন পিতামাতা। তাই এই দিনে পিতামাতাদের সমস্ত সুখ দেওয়া সন্তানদের কর্তব্য।
জাতীয় অভিভাবক দিবস দিনটি বিশেষ করে তুলতে নিজের হাতে শুভেচ্ছা কার্ড তৈরি করা যেতে পারে। তাদের পছন্দের কোনও জিনিস উপহার হিসেবে দেওয়া যেতে পারে। সন্তানদের এই দিনে পিতামাতাকে রান্না করে খাওয়ানো উচিত, রান্না করা সম্ভব না হলে খাবারের জন্য বাইরে নিয়ে যাওয়া যেতে পারে। এছাড়া বাবা মায়ের সঙ্গে সফরে যাওয়ার পরিকল্পনা করা যেতে পারে।