বাঙালির প্রাণের উৎসব দুর্গাপূজা,সেই উৎসব এবার পেয়েছে ইউনেস্কোর (UNESCO) র গ্লোবাল ইনট্যানজিবল হেরিটেজের(GLOBAL INTANGIBLE HERITAGE) স্বীকৃতি। হাতে আর মাত্র কয়েকদিন। ইতিমধ্যেই মন্ডপে চলে এসেছে প্রতিমা, কিছু পুজোর শুভ উদ্বোধন হয়ে গেছে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর হাত দিয়ে। তবে এই দুর্গাপূজার প্রকৃত সূচনালগ্ন দেবীপক্ষের সকালে বাণী কুমার বিরচিত মহিষাসুর মর্দ্দিনীর মাধ্যমে ।বাঙালির মননে গেঁথে যাওয়া বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের উদাত্ত কন্ঠের চন্ডীপাঠ যেন মায়ের আগমন বার্তা বয়ে আনে।
সেই মহিষাসুর মর্দ্দিনীকে রূপে রসে গন্ধে দোলায় এবং অর্থে অবিকৃত রেখে ইংরেজি ভাষায় অনুবাদ ও উপস্থাপনা করে সারা বিশ্বের সামনে হাজির করেছেন এক বাঙালি ইঞ্জিনিয়ার, সুপ্রিয় সেনগুপ্ত (Supriyo Sengupta) তাঁর ইউটিউব চ্যানেল কারিগরি কবিয়ালের(Karigori Kobiyal) মাধ্যমে। সুপ্রিয় সেনগুপ্তের মায়ের ইচ্ছা ছিল বাঙালির প্রাণের আবেগ কে কোন ভাবেই আহত না করে, অবিকৃত ভাবেই তাকে আন্তর্জাতিক রূপ দান করতে হবে। শুরু হয় সেই অসাধ্য সাধনের, অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে ২০১৭ সালে তৈরি হয় মহিষাসুর মর্দিনীর ইংরেজি রূপান্তর দ্য ডেমন স্লেয়িং গডডেস দূর্গা (The Demon Slaying Goddes Durga)। ছেলের প্রচেষ্টার খবর জানলেও সফলতা দেখে যেতে পারেননি সুপ্রিয় বাবুর মা। মায়ের মৃত্যুর সাত বছর পর ২০১৭ সালে ইংরেজি মহালয়ার কপিরাইট হাতে পান তিনি।
তারপর থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি, প্রতি বছর মহালয়ার সকালে এই উপস্থাপনা দর্শক শ্রোতাদের ভালোবাসায় আরো আরো সমৃদ্ধ হয়েছে আরো পরিমার্জিত হয়েছে। এবারে ও সেই কাজ ধরা দেবে দর্শকদের সামনে।
দেশে এবং দেশের বাইরে বহু মানুষের প্রশংসার পাশাপাশি সুপ্রিয় সেনগুপ্ত পেয়েছেন ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস (India Book of Records)এর স্বীকৃতি।
২০২২ সালে ২৫ সেপ্টেম্বর মহালয়ার পুণ্য প্রভাতে সকাল ৮ টায় কারিগরী কবিয়ালের পেজে শোনা যাবে মহিষাসুরমর্দিনীর ইংরেজি ভার্সন।এই লিঙ্কে ক্লিক করলে শুনতে পারবেন।
মায়ের স্বপ্ন কে বিশ্বের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে এখনো নিরন্তর তাঁকে আরো আকর্ষণীয় করে তোলার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন কারিগরী কবিয়াল সুপ্রিয়। সেই কাজে অনেক সাফল্য আসুক, বাংলার মহিষাসুর মর্দ্দিনীর প্রকৃত বিশ্বায়ন ঘটুক এক বাঙালির হাতে।