গোটা বছরে মায়েরা তাদের সন্তানদের জন্য সারা বছর অনেক উপবাস পালন করেন, যার মধ্যে একটি হল জীবিতপুত্রিকা উপবাস। আশ্বিন মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে পালন করা হয় জীবিতপুত্রিকা উপবাস। ছট উৎসবের মতো এই উপবাস খুবই কঠিন। মান্যতা রয়েছে যে এই পুজো করলে সন্তানদের সব সমস্যা‌ দূর হয় এবং সন্তান দীর্ঘায়ুর আশীর্বাদ পায়। ২০২৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর পালন করা হবে জীবিতপুত্রিকা উপবাস।

তিজের মতো খাদ্য ও জল ছাড়াই পালন করা হয় এই উপবাস। বিশেষ করে বিহার, পশ্চিমবঙ্গ এবং পূর্ব উত্তর প্রদেশে পালন করা হয় এই উৎসব। পঞ্জিকা অনুসারে, আশ্বিন মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথি শুরু হবে ২৪ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২:৩৮ মিনিটে এবং শেষ হবে ২৫ সেপ্টেম্বর রাত ১২:১০ মিনিটে। পৌরাণিক বিশ্বাস অনুযায়ী, কোনও মা এই উপবাস পালন করলে সন্তানের বিয়োগের সন্মুখীন হতে হয় না। তাদের সন্তানেরা দীর্ঘ জীবন পায় এবং সারাজীবন দুঃখ-কষ্ট থেকে দূরে থাকে। গন্ধর্ব রাজপুত্র জিমুতবাহনকে পুজো করা হয় এদিন।

মহাভারত যুদ্ধের সময় পিতার মৃত্যুর পর অশ্বত্থামা অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হয়েছিলেন। সেই রাগে পাণ্ডবদের শিবিরে প্রবেশ করেন তিনি। সেই সময় শিবিরের ভিতরে ৫ জন ঘুমিয়ে ছিল। অশ্বত্থামা তাদের পঞ্চ পান্ডব ভেবে পিতার মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে সেই ৫ জনকে হত্যা করেছিলেন। তবে সেই স্থানে ছিল দ্রৌপদীর ৫ সন্তান। অর্জুন এই খবর পেয়ে অশ্বত্থামাকে বন্দী করে তার ঐশ্বরিক রত্ন ছিনিয়ে নেন। এরপর অশ্বত্থামার ক্রোধের আগুন বেড়ে যাওয়ায় প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য অভিমন্যুর স্ত্রী উত্তরার গর্ভে বেড়ে ওঠা শিশুটিকে মেরে ফেলার চেষ্টা করেন। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তার সমস্ত গুণের ফল উত্তরার অনাগত সন্তানকে দিয়েছিলেন। তার মৃত্যু এবং পুনরুজ্জীবিত হওয়ার কারণে সেই শিশুটির নাম হয় জীবিতপুত্রিকা।