১৪ নভেম্বর দেশজুড়ে পালিত হয় দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর জন্মবার্ষিকী। ১৮৮৯ সালের ১৪ নভেম্বর, জন্মগ্রহণ করেছিলেন জওহরলাল নেহরু। তাঁকে সম্মান জানাতে নেহেরু জয়ন্তীতে শিশু দিবসও পালন করা হয়। জওহরলাল নেহেরু শিশুদের খুব স্নেহ করতেন এবং শিশুরাও তাঁকে খুব পছন্দ করত। জওহরলাল নেহেরুকে ভালোবেসে 'চাচাজি' বলা হত। ১৮৮৯ সালের ১৪ নভেম্বর তৎকালীন এলাহাবাদে জন্মগ্রহণ করেন জওহরলাল নেহরু। তাঁর পিতার নাম ছিল মতিলাল নেহেরু এবং মা স্বরূপরাণী, তাঁরা দুজনই কাশ্মীরি পণ্ডিত ছিলেন।

পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর দুই বোন ছিল, বড় বোন বিজয়লক্ষ্মী জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের প্রথম মহিলা প্রেসিডেন্ট হন এবং ছোট বোন কৃষ্ণা একজন বিখ্যাত লেখক হয়ে ওঠেন, যিনি তার জীবনে অনেক আকর্ষণীয় ও তথ্যপূর্ণ বই লিখেছিলেন। ছোটবেলা থেকেই প্রতিভার অধিকারী ছিলেন পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরুজী। বিশ্বের বিখ্যাত স্কুল ও কলেজ থেকে পড়াশোনা শেষ করেছেন তিনি। চাচা নেহেরু ৭ বছর ইংল্যান্ডে ছিলেন এবং ফ্যাবিয়ান সমাজতন্ত্র ও আইরিশ জাতীয়তাবাদকে সমর্থন করেন তিনি। এরপর ভারতে ফিরে আসেন পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরু। এখান থেকেই আইন চর্চা শুরু করেন তিনি।

১৯১৬ সালে কমলা নেহরুকে বিয়ে করেন পণ্ডিত নেহেরু। পরের বছর, তিনি হোম শাসকদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে রাজনৈতিক জীবন শুরু করে। অসহযোগ আন্দোলন, আইন অমান্য আন্দোলন এবং ভারত ছাড়ো আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন এবং এই সময়ে বেশ কয়েকবার কারাগারেও যেতে হয় তাকে। ১৯৩০ সালের ২৬ জানুয়ারি রাভি নদীর তীরে প্রথমবার স্বাধীন ভারতের পতাকা উত্তোলন করেন জওহরলাল নেহেরু। ভারতের স্বাধীনতায় বিশেষ অবদান রেখেছেন তিনি। তাঁর অক্লান্ত পরিশ্রমের কারণে স্বাধীনতার পর ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৬৪ সালের ২৭ মে পৃথিবীকে বিদায় জানান জওহরলাল নেহেরু।