হাজার হাজার বছর আগে সারা বিশ্বে ছিল প্রচুর বাঘ, যাদের শাসন চলত বনে বনে। কিন্তু একবিংশ শতাব্দীর আগমনের সঙ্গে দ্রুত কমতে শুরু করে বাঘের সংখ্যা। আর এই সংখ্যা কমে যাওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ ছিল অবৈধ শিকার। এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন এবং দ্রুত বন উজাড় হওয়ার কারণেও দ্রুত কমতে শুরু করে বাঘের সংখ্যা। আমাদের বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য বজায় রাখতে বড় ভূমিকা পালন করে বাঘ। তাদের সংখ্যা হ্রাস পাওয়া পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। এই বিষয়ে মানুষকে সচেতন করার জন্য প্রতি বছর ২৯ জুলাই পালন করা হয় আন্তর্জাতিক বাঘ দিবস।
বাঘ, চিতাবাঘ এবং সিংহ সকলেই দেখতে অনেকটা একই রকম, কিন্তু তাদের আকার, প্রকৃতি এবং শরীরে উপস্থিত দাগ তাদের একে অপরের থেকে আলাদা করে তোলে। বাঘের শরীরে থাকে কালো ডোরা দাগ। যেখানে চিতাবাঘের শরীরে থাকে গোলাকার দাগ। এককথায় সবধরনের বাঘের শরীরে ভিন্ন ভিন্ন ধরনের দাগ দেখতে পাওয়া যায়। চিতাবাঘের গায়ের রং হলুদ হয় এবং তাদের শরীরে ছোট ছোট কালো দাগ থাকে। চিতাবাঘের বিশেষত্ব হল তারা সহজেই গাছে উঠে পড়তে পারে।
জঙ্গলের রাজা পুরুষ সিংহের পরিচয় হল তার ঘন দাড়ি। যেখানে স্ত্রী সিংহের দাড়ি হয় না। সিংহ গর্জন করলে ৮ কিলোমিটার দূর থেকেও শুনতে পাওয়া যায়। বাঘ দেখতে সুন্দর হলেও খুবই বিপজ্জনক। গোটা বিশ্বে বাঘের ৫টি প্রজাতি অবশিষ্ট রয়েছে। এই ৫টি প্রজাতি হল বেঙ্গল টাইগার, ইন্দো-চাইনিজ, সাউথ চায়না, সুমাত্রান এবং সাইবেরিয়ান। বিশ্বের প্রায় ৭০ শতাংশ বাঘ বাস করে ভারতে। শিকারের কারণে একসময় গোটা বিশ্বে বাঘের সংখ্যা হ্রাস পেলেও বর্তমানে ধীরে ধীরে আবার বৃদ্ধি পাচ্ছে বাঘের সংখ্যা।